ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে জয় টাইগারদের

ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে যে কোনো ফরম্যাটে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারলেও। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করল টাইগাররা।

সাকিব আল হাসানের পর সাজঘরে ফিরলেন আফিফ হোসেনও। শেষ ৮ রানে ৩ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। মিরাজ, সাকিবের পর ফেরেন আফিফ। তাদের বিদায়ে ৯৭ থেকে ১০৫ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাটিংও দারুণ শুরু করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এই তারকা অলরাউন্ডার। জোফরা আর্চারের বলে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ১৬ বলে ২০ রান করেন মিরাজ।

আগের ওভারে আদিল রশিদকে দুই চার মারলেও মাঝে পানি পানের বিরতিতে যেন ছন্দপতন হলো তৌহিদ হৃদয়ের। ইংলিশ লেগ স্পিনার রেহান আহমেদের করা অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের শর্ট বলে খোঁচা দিতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ঢেকে আনেন হৃদয়।

পয়েন্টে ফিল্ডিং করা ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরার আগে ১৮ বলে দুই বাউন্ডারিতে ১৭ রান করেন হৃদয়। তাকে আউট করার মধ্য দিয়ে আন্তর্জতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের সাফল্য পেলেন রেহান। তৌহিদ হৃদের বিদায়ে ১০.৩ ওভারে ৫৬ রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে ১১৭ রানে অলআউট করে প্রথমবার সিরিজ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে টাইগাররা। ১১৮ রান করলেই সিরিজ নিশ্চিত। এমন সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেননি দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। লিটন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পুরোপুরি ব্যর্থ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের ৭ ,০, ০ রানে আউট হন এই তারকা ওপেনার।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় লিটন আউট হন ১২ রানে। আজ সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ১১৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন আউট হন ৯ বলে ৯ রান করে। তার বিদায়ে ২.৩ ওভারে ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

লিটন আউট হওয়ার পর ফেরেন রনি তালুকদারও। ২০১৫ সালের পর গত ম্যাচে সুযোগ পেয়ে রনি করেন ২১ রান। আজ ক্যারিয়ারের তৃতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে রনি আউট হলেন ১৪ বলে ৯ রানে। তার বিদায়ে ৫.১ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট হারায় স্বাগতিক বাংলাদেশ।

রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার বিকেল ৩টায় খেলাটি শুরু হয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজের অফ স্পিনে কুপোকাত ইংলিশরা।

২০ ওভারে ১১৭ রানেই অলআউট ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ দলের হয়ে মিরাজ ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। তার শিকার হয়ে একের পর এক সাজঘরে ফেরেন মঈন আলী, স্যাম কারেন, ক্রিস ওকস ও ক্রিস জর্ডান।