দুইদিন ছুটির দাবি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের

পল্লী বিদ্যুৎ

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) আওতাধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সমূহের কর্মকর্ত-কর্মচারীগণকে শুক্র-শনিবার দুইদিন ছুটি দেয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘন্টা শিফটিং ডিউটি রেখে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কার্যদিবস খোলা রেখে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে সেসব চিঠিতে।

গত মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এবং বুধবার (২৪ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আরইবি বরাবর চিঠি দিয়ে এ আবেদন জানান।

চিঠিতে বলা হয়, দেশব্যাপি ৮০ ভাগের বেশি গ্রাহকগণকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সমূহ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। বর্তমানে আরইবি নিয়ন্ত্রণাধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) সমূহ কারিগরী ও জরুরী শাখা সপ্তাহে সাত দিনে ২৪ ঘন্টা চালু এবং অন্যান্য বিভাগ শুক্রবার পূর্ণবেলা এবং বৃহস্পতিবার অর্ধবেলায় ছুটি ভোগ করছে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বৃহস্পতিবার অর্ধবেলা ছুটির কথা বলা থাকলেও দাপ্তরিক কাজ, গ্রাহক সেবা চলমান রাখা এবং মিটিং এর কারনে অর্ধবেলার পরও অফিস করতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ কাজে সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। আবার কখনো অর্ধবেলার পর চলে গেলে আরইবি থেকে তথ্য চাওয়া হলে তথ্য প্রেরণে সমস্যা হয়।

বৃহস্পতিবার অর্ধবেলার পর নিয়মিত ভাবে গ্রাহক আসে। তখন সেবা প্রদানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় এবং সেবা প্রদান সম্ভবও হয় না। গ্রাহকের মাঝে পল্লী বিদ্যুতের সেবা নিয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। তাই বৃহস্পতিবার অর্ধদিবসের পরিবর্তে পূর্ণ দিবস চালু করা জরুরি।

শনিবার অফিসে গ্রাহক আসেনা। ব্যাংক বন্ধ থাকে বিধায় বিল গ্রহণ, অন্যান্য ফি গ্রহণ করাও সম্ভব হয়না। অযথা কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। বিদ্যুৎ, যানবাহন, জ্বালানীর খরচসহ অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় সরকারি অফিস সমূহের সাথে সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি হয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরো বলা হয়, আরইবি এবং স্থানীয় সরকারি অফিস সমূহের সাথে তথ্য আদান প্রদানসহ সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ সহজ করতে, ছুটির বিষয়ে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরাজমান অসন্তুষ্টি দূর করে কর্মউদ্দিপনা বৃদ্ধি পাওয়ার লক্ষ্যে এবং বিদ্যুৎ ও যানবাহন জ্বালানী খরচ সাশ্রয় করার জন্য সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটির দাবি করেন তারা।