ওয়ালটন সিইও’র ইতালিতে এসিসির প্রোডাকশন প্ল্যান্ট পরিদর্শন

ইতালির মেল শহরের এসিসির প্রোডাকশন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। এসময় সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এসিসির প্রোডাকশন প্ল্যান্ট বাংলাদেশে নিয়ে আসার কাজের অগ্রগতি এবং ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে তাদেরকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন গোলাম মুর্শেদ।

এসিসি বিশ্বখ্যাত ইউরোপীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড। সম্প্রতি ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের ঐতিহ্যবাহী এই ব্র্যান্ডটি আরো দুটি ব্র্যান্ড (জানুসি ইলেকট্রোমেকানিকা বা জেম এবং ভার্ডিকটার) সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ইনভার্টার এবং ফিক্সড স্পিড কম্প্রেসর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট, গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) মেধাসম্পদ (প্যাটেন্ট, ডিজাইন এবং সফটওয়্যার লাইসেন্স), ৫৭টি দেশে ট্রেডমার্কসহ স্বত্ব লাভ করে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।

বর্তমানে এসিসির প্রোডাকশন প্ল্যান্ট সব ধরনের মেশিনারিজসহ ইতালি থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার কাজ চলছে। এ কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিতে ইতালিতে অবস্থান করছেন ওয়ালটনের শতাধিক বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ান। ঈদের সময় পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকা ওয়ালটন পরিবারের এই সদস্যদের উৎসাহিত করতেই তাদের কাছে ছুটে যান প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও সিইও।

এসিসির কারখানা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের পরিচালক তাহমিনা আফরোজ তান্না, এসিসির আরঅ্যান্ডডি ডিরেক্টর রাউল বস্কো জুনিয়র, সাপ্লাই চেইনের প্রধান ড্যানিয়েলা পিয়েরবর্ন, কোয়ালিটি ডিরেক্টর লুকা দাল্লা সেগা এবং এইচআর ডিরেক্টর ফ্রেডরিকা ম্যাগনোলিয়ের, ওয়ালটন হাই-টেকের ডিএমডি আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন কম্প্রেসরের সিবিও রবিউল আলম রাজীব, কম্প্রেসর আরঅ্যান্ডআই বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মীর মুজাহেদিন ইসলাম প্রমুখ।

ওয়ালটন সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, সাধারণত মানুষ পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন। তাদের সঙ্গে ঈদের সময়টা কাটান। ওয়ালটনে যারা কাজ করেন, তারা এ পরিবারের সদস্য। বাংলাদেশে কাছের মানুষদের ছেড়ে সুদূর ইতালিতে ওয়ালটন পরিবারের কিছু সদস্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

এসময় তিনি জানান, এসিসির কম্প্রেসর প্রোডাকশন প্ল্যান্টের ডিসম্যান্টেলিংয়ের (স্থানান্তর করার জন্য খুলে ফেলা) কাজ পুর্নোদ্যমে এগিয়ে চলছে। সেইসঙ্গে ওয়ালটনের একঝাঁক তরুণ বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ান ইতালিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এ কাজের সামগ্রিক অগ্রগতি প্রায় ৬০ শতাংশ।

এসিসির সর্বাধুনিক এই কম্প্রেসর প্রোডাকশন প্ল্যান্টটি ইতালি থেকে মেশিনারিজসহ খুলে নিয়ে এসে বাংলাদেশে স্থাপন করা হচ্ছে। এরফলে উচ্চপ্রযুক্তির সর্ব্বোচ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কম্প্রেসর তৈরিতে বাংলাদেশে নতুন এক যুগের সূচনা ঘটছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূলত বাংলাদেশি ক্রেতাদের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পণ্য দিতে এবং বিশ্ববাজার টার্গেট করে ইউরোপীয় ঐতিহ্যবাহী ব্র্যান্ড তিনটি সব ধরনের মেশিনারিজ ও মেধাসম্পদসহ স্বত্ব লাভ করে ওয়ালটন।এরফলে বাংলাদেশের ক্রেতারা যেমন প্রিমিয়াম কোয়ালিটির পণ্য পাবেন, তেমনই বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিশ্ববাজারে আরো ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাবে। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।