১২০ ডলারে পৌঁছেছে জ্বালানি তেলের দাম

তেলের দাম কমেছে

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের জেরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলারে উঠেছে। ২০১২ সালের পর বিশ্ববাজারে যা সবছে বেশি।

ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর অন্তত ২০ শতাংশ বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলার স্পর্শ করেছে। প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

এদিকে ১৪ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তেলের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে লক্ষ্য করা গেছে। ২০০৮ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম এতটা বাড়তে দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যারেল প্রতি প্রায় ১১৭ ডলারে উঠেছে।

বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বিশ্বে শীর্ষ তেল উত্তোলনকারী দেশ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর পরেই অবস্থান ছিল রাশিয়ার। ২০২১ সালে গড়ে প্রতিদিন ১ কোটি ২ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর পরেই রাশিয়ার অবস্থান। দেশটি উত্তোলন করেছে গড়ে ৯৭ লাখ ব্যারেল। উত্তোলনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সৌদিআরব। দেশটি দৈনিক ৯৩ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করেছে।

এদিকে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন জ্বালানি ব্যবসায়ীরা। এ কারণে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানি বড় রকমের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়েছে। রাশিয়ার রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় জ্বালানি পণ্যটির সরবরাহ সংকট আরো তীব্র হয়ে ওঠার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এখনো দেশটির তেল-গ্যাস রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। কারণ এ খাতে নিষেধাজ্ঞা দিলে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা প্রকট আকার ধারণ করবে। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা না পড়লেও ঝুঁকি এড়াতে রুশ জ্বালানি পণ্য কেনা বন্ধ রেখেছেন অনেক ব্যবসায়ী।