ডিএসই-সিএসইকে বিএসইসির নতুন নির্দেশনা

শেয়ারবাজারে লেনদেন

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) নতুন নির্দেশনা দিয়েছে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কমিশনের সহকারী পরিচালক মাকছুদা মিলা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। নতুন এ নির্দেশনায় ডিএসই এবং সিএসইকে ‘নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন এবং নিরাপত্তা নীতি’ প্রণয়ন করতে বলা হয়। এই নীতি প্রণয়ন করা হলে ব্রোকার হাউজগুলো একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের সুযোগ পাবে না।

একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করা হাউজগুলোকে কারণ জানার জন্য দুই এক্সচেঞ্জকে নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। পাশাপাশি ওই হাউগুলো সরাসরি পরিদর্শন করতে হবে ডিএসই এবং সিএসইকে। এছাড়াও শেয়ার বিক্রেতাদের তালিকাভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

ব্রোকার হাউজগুলো কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চাইলে আগে ডিএসই এবং সিএসই থেকে অনুমতি নিতে হবে। ডিএসই এবং সিএসই অনুমতি দিলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বিষয়টি জানাতে হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে বলায় হয়, দুই এক্সচেঞ্জ ‘হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার ইনস্টলেশন নীতি’ এবং ‘নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন এবং নিরাপত্তা নীতি’ প্রণয়ন করবে। ব্রোকার হাউজগুলোর মাঝে এ নিয়ম প্রচার করতে হবে। এছাড়াও ডিএসই এবং সিএসই আলাদাভাবে ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর দৈনিক লেনদেনের ডেটা সংরক্ষণের জন্য ব্যাক-আপ নীতি প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ(গুলি) নেবে৷

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজ একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব ব্রোকারেজ একটি সফটওয়্যার দিয়ে প্রকৃত তথ্য এবং অন্যটি দিয়ে ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করতো। ফলে বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পারতেন না।

বিএসইসির নতুন এই নির্দেশনার কারনে একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করার আগে ডিএসই এবং সিএসই থেকে অনুমতি নিতে হবে। একইসঙ্গে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বিষয়টি জানাতে হবে।এছাড়াও যারা বর্তমানে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করছে তাদের কাছ থেকে কারণ জানার পাশাপাশি সেসব ব্রোকার হাউজ পরিদর্শন করবে ডিএসই এবং সিএসই। ফলে বিনিয়োগকারীদের অর্থের হেরফের হচ্ছে কি না তা সহজেই বোঝা যাবে।