দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে বিপ্লব ঘটাবে ‘এসিআই বিপ্লব ’

দেশে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ায় মাঝেমধ্যে সংকটে পড়তে হয়। আমদানি বন্ধ বা নিয়ন্ত্রিত হলে চলে যায় দাম নাগালের বাইরে। এমন সংকট থেকে সমাধানের জন্য এসিআই উদ্ধাবিত পেঁয়াজের জাত ‘বিপ্লব’ আবাদের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পুর্ণ হতে পারে দেশ। বিজনেস নিউজ পোর্টাল দেশ সমাচারের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে এমন বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ অন্যতম এগ্রি বিজনেসের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ড. এফ এইচ আনসারী

সম্প্রতি কৃষি উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে দেশ সমাচারের সাথে কথা বলেন এসিআই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. এফ এইচ আনসারী। এসময় তিনি বলেন, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন কিন্তু উৎপাদন হয় ৩৫ লাখ মেট্রিক টন এতে ঘাটতি থেকে যায় প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন।

বলেন, পেঁয়াজের পুরো চাহিদা পূরণ করতে না পারার কারণ সংরক্ষণাগারের অভাব, পণ্যটি নষ্ট হওয়া, বীজের সংকট, কৃষকদের প্রশিক্ষণ না থাকা, অপ্রতুল গবেষণা, দামের ওঠানামা, কৃষকের জন্য প্রণোদনা না থাকা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়াসহ নানা সমস্যা। বছরের শেষের দিকে এসে গ্রীস্ম ও বর্ষার শেষ চার মাসে পেঁয়াজের সংকট হয়, তখন দাম বেড়ে যায়, পেঁয়াজ আমদানী করতে হয়।

ড. এফ এইচ আনসারী বলেন, এতো বছর পেঁয়াজের স্থানীর ভালো জাত ছিলোনা, আমরাই প্রথম এমন একটি জাত নিয়ে এসেছি যেটি সারা বছর উৎপাদন করা যায়। বর্ষা কিংবা গ্রীস্ম কালে আমাদের উদ্ভাবিত পেঁয়াজের জাত ‘বিপ্লব’ আবাদ করা যায়।  এই পেঁয়াজের ইল্ড প্রায় ৩০ টন উল্লেখ করে তিনি জানান, দেশে অন্যান্য জাতের যে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তার ইল্ড ১০ থেকে ১৪ টন। আর তাই ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে ‘বিপ্লব’ জাতের পেঁয়াজ আবাদ করতে পারলে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টন পেঁয়াজ হয়ে যায়।

সারাদেশে এ জাতের পেঁয়াজের আবাদ বাড়াতে সার্বিকভাবে পেঁয়াজের সংসট নিরসনে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন এই কৃষি উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ। বলেন, এ পেঁয়াজ উৎপাদনে সরকারকে কাজ করতে হবে এবং কৃষি এক্সটেনশনকে কাজ করতে হবে।