আইপিও’র আবেদন জমা দিয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক

গ্লোবাল ইসলামী

শেয়ারবাজারে আসছে নতুন প্রজন্মের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। নির্ধারিত মূল্যে গণ প্রস্তাবের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য চলতি মাসে ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ বিএসইসি’র কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে ব্যাংকটি। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক শেয়ারবাজারে আনতে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

এ বিষয়ে, বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, নতুন প্রজন্মের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড শেয়ারবাজারে আসতে চায়। এজন্য তারা এসইসির কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে আবেদন করেছে। আমরা আবেদন পেয়েছি। আবেদনে কি লেখা রয়েছে তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

বিএসইসির সূত্র মতে, শেয়ারবাজারে আসার জন্য গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক জুন,২০২১ এর আর্থিক প্রতিবেদন দিয়ে বিএসইসিতে আবেদন করেছে। আইপিওর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজার থেকে ৪২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ার হোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাবিব হাসনাত গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন অনুযায়ী আমাদেরকে শেয়ারবাজারে আসতে হবে। শেয়ারবাজারে আসার জন্য আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি পেয়েছি। শেয়ারবাজারে আসার জন্য ইতিমধ্যে ইস্যু ম্যানেজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবং জুন ২০২১ হিসেব দিয়ে বিএসইসিতে আবেদন করেছি।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু থেকে পূর্ণাঙ্গ শরীয়াহ ভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করছে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক এবং সেই সঙ্গে ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক করা হয়। ২০১৩ সালে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ৪র্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে। অনন্য ব্যাংকিং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ইতিমধ্যে ব্যাংকটি গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে দেশজুড়ে ব্যাংকটির ১৬৫ টি শাখা, ২৭টি উপশাখা এবং প্রায় ৮০টি এটিএম বুথ রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬০ টি সিডিউল ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আছে ৩৩টি ব্যাংক।