পাপিয়া সুপার জাতের করলা চাষে বাম্পার ফলন কৃষকের

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় লবনাক্ত চিংড়ি ঘেরের আইলে উন্নত জাতের এসিআই সীড কতৃক বাজারজাতকৃত পাপিয়া সুপার জাতের করলা চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন চাষীরা। লবন সহিঞ্চুতার পাশাপাশি অধিক ফলনশীল, রোগ এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ার কারনে করলার এই জাতের সম্প্রসারনে কাজ করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে সরেজমিন পরিদদর্শন করে দেখা যায় মাছের ঘেরের পাশে বিশাল একালা জুড়ে করলার চাষ করেছেন চাষীরা। মঙ্গলবার স্থানীয় কৃষি বিভাগকে সাথে নিয়ে এসিআই এর কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দেন। এসময় স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলেন এসিআই এর বিজনেস ডিরেক্টর সুধীর চন্দ্র নাথ, জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান, স্থানীয় কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক হাফিজুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মোসাদ্দেক হোসেন।

এসময় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এসিআই কোম্পানির পাপিয়া সুপার জাতের করলা সুস্বাদু, ফলন বেশি এবং বাজার মূল্য ভালো পাওয়ার কারনে এই জাতটি চাষাবাদে দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, “পাপিয়া জাতের করোলা লবন সহিঞ্চু হওয়ায় এবং মোজাইক ভাইরাস প্রতিরোধী হওয়ার কারনে কৃষকরা এটি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। হেক্টর প্রতি ৩০ থেক ৩৫ টন পাওয়া য়ায় করোলা, এক একরে সপ্তাহে ১৫/২০ মন পাওয়া যায়। দক্ষিণ অঞ্চলের অর্থনীতিতে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি”।

পাপিয়া সুপার
পাপিয়া সুপার হাইব্রিড করলার বাম্পার ফলন

এসিআই এর বিজনেস ডিরেক্টর সুধীর চন্দ্র নাথ গণমাধ্যমকে জানান, করলাটি সম আকৃতির হওয়ায় অন্য জাতের করলার থেকে বিক্রি সহজ এবং কেজি প্রতি ২ টাকা বেশি পান কৃষকরা। পাপিয়া সুপার জাতটি সম্প্রসারনের জন্য কৃষক, জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগ একসাথে কাজ করছে কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করতে।

এসময় এসিআই এর মার্কেটিং এন্ড সেলস এর জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, পাপিয়া সুপার হাইব্রিড করলা অন্য জাতের চেয়ে ২০ ভাগ বেশী ফলন দেয়। চাষীদের লাভজনক করাই এসিআই এর মূল উদ্যেশ্য উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা এই জাতের করলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। আর এ কারনেই কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর কাজ করছে জাতটির সম্প্রসারনে। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সাথে এক হয়ে কাজ করতে পারলে কৃষি অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

কৃষক আজিজুল হাওলাদার বলেন, পাপিয়া সুপার জাতের করোলা অন্যান্য জাতের তুলনায় ফলন অনেক বেশি এবং মাত্র ১২০ দিনে বিঘাপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ করে ৭০-৮০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারছেন তারা।