বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সিআইএ হত্যা করেছিলো : আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী

স্পীকার হুমায়ুন রশীদ

ভাষা সৈনিক, বরেণ্য সাহিত্যিক ও খ্যাতিমান কলামিস্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করতে খন্দকার মোশতাকের বাসায় বোস্টার মিটিং করেতা সিআইএ। তারাই পরিকল্পনা করে জাতির পিতাকে হত্যা করেছে।

শনিবার রাতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত ”বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ পালন উপলক্ষে স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ আয়োজন করে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান।

ভার্চুয়ালি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষা সৈনিক, বরেণ্য সাহিত্যিক ও খ্যাতিমান কলামিস্ট জনাব আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শহীদ জায়া বেগম শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের প্রথিতযশা সিভিল সার্ভেন্ট, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব জনাব মো: নজিবুর রহমান।

বক্তব্য রাখছেন স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের প্রথিতযশা সিভিল সার্ভেন্ট, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব জনাব মো: নজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক, আখলাকুল আম্বিয়া। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত “বঙ্গবন্ধু: বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি” শীর্ষক ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

ভার্চুয়াল আলোচনার শুরুতেই জাতির পিতাকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণসহ তাঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। শোকাহত চিত্তে স্মরণ ও গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সহধর্মিণী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সহ অন্যান্য সকল শহিদের প্রতি, যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে পঁচাত্তরের এ দিনে ঘাতকচক্রের হাতে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় অনুষ্ঠানে থেকে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির সহ সভাপতি ও খ্যাতিমান চিকিৎসক ডা: মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের সহসভাপতি ও মরহুম স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর পৌত্র ও সহ সভাপতি জনাব মাহসুন নোমান চৌধুরী, এইচআরসিএমসির নির্বাহী সদস্য, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা: সামন্ত লাল সেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যে কোন মানদন্ডের বিচারে বঙ্গবন্ধু ছিলেন এক অনন্য নেতা। সহজ-সরল, সাদামাটা অথচ দৃঢ়চেতা এক আলোকিত মানুষ। গোপালগঞ্জের নিভৃত পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেও তিনি একটি পিছিয়ে পড়া জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছেন, এনে দিয়েছেন স্বাধিকার ও স্বাধীনতা। বিশ্ব ইতিহাসে যার দৃষ্টান্ত বিরল। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা। তিনি অবহেলিত বাঙালি জাতিকে একটি অভীষ্ট লক্ষ্যে স্থির করতে পেরেছিলেন- তাঁর দূরদৃষ্টি, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং পবিত্র জীবনদর্শন দিয়ে। যে জীবনদর্শনে মিশে আছে সততা, নির্লোভ, মানুষের প্রতি গভীর মমতা, আত্মত্যাগ এবং দুর্মর সাহস।

একটি দেশ, একটি জাতি, একটি পতাকা এই স্বপ্ন বুকে নিয়ে মুক্তির আন্দোলনে তিনি অকুতোভয়চিত্তে দিয়েছেন সর্বোত্তম নেতৃত্ব। তাঁর নামেই পরিচালিত হয়েছিল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। তিনি স্বীকৃত হয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে। মানুষের অশেষ শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় হয়েছেন ছোট্ট খোকা হতে জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধু আমৃত্যু দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করেছেন। দেশের মানুষকে নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবেসে গেছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নিচ্ছেন জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা। স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।

অনুষ্ঠানের শেষে দোয়া মাহফিলে অংশ নেন সবাই। এসময় পনেরো আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এইচআরসিএমসির সাধারণ সম্পাদক, সরকারের সচিব ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মো: এহসানে এলাহী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।