মমতাকে গৃহবন্দি করার দাবি বিজেপির

শনিবার চতুর্থ দফার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে পাঁচজন নিহত হন। তাদের মধ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। এরপর এই হত্যাকাণ্ডের দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর চাপিয়ে তাকে গৃহবৃন্দি করার দাবি তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

দিলীপ ঘোষের ভাষায়, ‘সমাজ বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট করতো। মমতা তাদের উত্তেজিত করেছেন। তারা সেন্ট্রাল ফোর্সের ওপর হামলা করেছে। পরে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমার মনে হয়, মমতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হওয়া উচিত। প্রচার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা দরকার।’

তার দাবি, ‘(মমতা) বুঝতে পেরেছেন হেরে যাবেন, তাই মানুষকে উত্তেজিত করতে শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের দায় পুরোপুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি মানুষকে সেন্ট্রাল ফোর্সকে ঘেরাও করতে, ইভিএম আটকানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।’

তবে রাজ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়া এই ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন মমতা। পাশাপাশি এর তদন্তভার তুলে দিয়েছেন সিআইডি’র হাতে।

মমতার দাবি, ‘আজকের ঘটনার জন্য দায়ী অমিত শাহ। উনিই ষড়যন্ত্রকারী। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দায়ী করব না। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে চলে। নির্বাচন কমিশনের কথায় চললেও ওরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে।’