মিশরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৩২

ভয়াবহ

মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নীল নদের কাছে তাহতা শহরে দুই ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষে কমপক্ষে এবং ১৬৫ জন গুরুতর আহত ও ৩২ জন নিহত হয়েছে।

শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুর্ঘটনা এ তথ্য জানিয়েছে ।

মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, দায়ীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

সোহাগ প্রদেশের ওই শহর টিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনে আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেন ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেখানে ৭০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনাকবলিত একটি ট্রেন লুক্সর থেকে আলেক্সান্দ্রিয়া যাচ্ছিল। অপরটি যাচ্ছিল রাজধানী কায়রো থেকে আসওয়ান শহরে।

দুর্ঘটনায় তিনটি যাত্রীবাহী বগি দুমড়ে-মুচড়ে ভেতরে যাত্রীরা আটকা পড়েন। অনেকে অচেতন হয়ে পড়েন। অনেকের রক্ত ঝরতে দেখা যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে অনেককে পাশের মাটিতে রাখা হয়।

মিশরের রেল কর্তৃপক্ষ জানান, ‘অজ্ঞাত ব্যক্তিরা’ একটি ট্রেনের ইমার্জেন্সি ব্রেক চাপলে সেটি লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। একই লাইনে দিয়ে একই দিকে আরেকটি ট্রেন যাচ্ছিল। যেটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।

দুর্ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা যায়, একটি খালের পাশে ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি উল্টে পড়ে আছে। সেগুলো দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। লোকজন চারপাশে ভিড় করে আছে।

দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে মিশরের রয়েছে সবচেয়ে পুরোনো ও দীর্ঘ রেল নেটওয়ার্ক রয়েছে। সেখানে রেল দুর্ঘটনার ঘটনাও প্রায়ই ঘটে থাকে। ২০১৭ সালেই দেশটিতে এক হাজার ৭৯৩টি রেল দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছিল।

আরো পড়ুন-  ২১ দিনের কোয়ারেন্টিনে ডা. লোটে শেরিং

এর আগে গত বছরের দুটি ট্রেনের সংর্ঘষে দেশটিতে ৪৩ জন মারা যান। ২০১৬ সালেও কায়রোর কাছে এক রেল দুর্ঘটনায় ৫১ জন মারা যান। তবে ২০০২ সাল দেশটিতে দুটি দ্রুতগামী ট্রেনের সংঘর্ষে ৩০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।