ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর ঘিরে রাজধানীর মতিঝিলে যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় শুরু হয়। এতে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি মতিঝিলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শাপলা চত্বরে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও টিয়ারশেল ছোড়ে। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। সংঘর্ষে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় আলোচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকেও এ সময় আটক করা হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর ঘিরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত এই বিক্ষোভে পুলিশ পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা মশিউর রহমানের। তিনি জানান, পুলিশ মিছিলে লাঠিচার্জ, ক্যাদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা মতিঝিল শাপলা চত্ত্বর পার হচ্ছিলাম এই সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এখান থেকে শিশু বক্তা রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন নুরুল হক নুর। এই তথ্য জানিয়েছেন নুরের ভাগ্নে মিঠু। তিনি যুগান্তরকে টেলিফোনে বলেন, মামা পুলিশের হামলায় আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে নুরের ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করা হয়েছে যে, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বর্তমানে শাপলা চত্বর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরো পড়ুন- ঢাবি ক্যাম্পাসে পুলিশের গাড়ি দেখলেই আগুন ধরিয়ে দিন: ভিপি নুর
মতিঝিল জোনের এডিসি নুরুল আমিন বলেন, তারা মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বর এলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু করে। আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।