মুরগির আবর্জনায় মিলল ২ এনজিও কর্মকর্তার লাশ

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের দুর্গাপুরে নিখোঁজের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর মুরগির খামারের পিছনে থেকে দুই এনজিও কর্মকর্তার মাটি চাপা দেয়া লাশ উদ্ধার করেছে ডিবি ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর একটি বেসরকারি সংস্থার উপজেলার চুড়াইন শাখার কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম নিখোঁজ হয়। এরপর গত ১৬ মার্চ অভিজিত কুমার মালো নামের আরেক কর্মকর্তা নিখোঁজ হন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেজনকভাবে জনি (৩০) নামে একজনকে রোববার আটক করে ঢাকা উত্তরের ডিবি পুলিশ। তার দেয়া তথ্যমতে সোমবার বিকালে দুর্গাপুরে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত ইউসুফ হোসেন ও মনিরকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানায়, দুই এনজিও কর্মকর্তাকে হত্যার পর তারাই সংঘবদ্ধ হয়ে ওই লাশ গুম করে। পরে আসামিসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্গাপুর মুরগির খামারের পিছনে থেকে মুরগির আবর্জনা দেয়া দিয়ে ডাকা লাশ দুটি দুই স্থান থেকে উদ্ধার করে ডিবি ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।

এনজিওটির বর্তমান এরিয়া ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংস্থার প্রথম কর্মকর্তা নিখোঁজ হলে মামলা করি। মামলাটি ডিবি তদন্ত করে। এরপর দ্বিতীয় কর্মকর্তা গুম হলে ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম কাজ করে। পরে ঘটনার সন্ধান মিলে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. হুমায়ন কবির জানান, এনজিও থেকে ইউসুফের স্ত্রী কিস্তির টাকা উত্তোলন করে। ওই টাকা পরিশোধ করতে চাপ দিলেই তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রথমে রাজিবুলকে ডেকে টাকা দেয়ার কথা বলে হত্যা করে। এরপর অভিজিত কুমার মালোকেও একই কায়দায় ডেকে হত্যার পর লাশ গুম করে।

আরো পড়ুন- কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন

নবাবগঞ্জ থানার ওসি শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের ডিবি পুলিশ ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা দেখা হচ্ছে। লাশ উত্তোলনের সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।