করোনা সনাক্তের পর এক বছর পার করলো বাংলাদেশ। এরিমধ্যে মারনব্যাধি কেড়ে নিয়েছে ৮ হাজার ৪৬২ জনের প্রাণ। চিকিৎসকের আভাবে মরতে হয়েছে সে সংখ্যাও কম নয়। আবার নানান প্রতিকুলতা সত্বেও সেবা দিয়েছেন অনেক স্বাস্থ্যকর্মী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাবি, করোনার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করা গেছে বহু মানুষকে।
দেশের প্রথম করোনা হাসপাতাল, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী’র আইসিইউ বিভাগের প্রধান চিকিৎসক আসাদুজ্জামান। চিকিৎসা জীবনে মহামারীর এতটা ভয়াবহতা দেখেননি আগে। গেলো বছর ৮ মার্চ রোগী সনাক্তের দিন থেকেই যেন এক যুদ্ধক্ষেত্রে নিক্ষেপিত তিনি। এখনও নেই পর্যাপ্ত সরঞ্জাম, কোয়ারেন্টাইনে থাকার জায়গা নেই, সর্বোপরী সামাজিক তির্যোক দৃষ্টিতো আছেই।
ফুসফুসকে অকার্যকর করার অফুরন্ত শক্তি করোনার। শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিল কাজে অপারগ হয়ে পড়েন অনেকেই। বাঁচা মরার এই লড়াইয়ে এক বছরে হেরে গেছেন প্রায় সাড়ে আট হাজার মানুষ।
করোনার আক্রমনে প্রথম মৃত্যু ১৮ মার্চ। করোনা মোকাবিলায় নিজেদের সফল দাবি স্বাস্থ্য বিভাগের। এরিমধ্যে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে জীবনযাত্রাও। তবু এখনো হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন অসংখ্য মানুষ।