সালিশে লাথি খেয়ে হাসপাতালে উপজেলা চেয়ারম্যান

সালিশে

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সালিশে বিরোধ মেটাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের কালিবাড়ী রায়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নে বালু নিয়ে বিবাদমান বিষয়ে সালিশকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন স্থানীয় লোকদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মেটাতে যান। তিনি যাওয়ার পরপরই এমপি গ্রুপের সবুরসহ কয়েকজন তাকে এলোপাতাড়ি লাথি, কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ।

উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, এমপির ইন্ধনে তার লোকজন আমাকে মারধর করেছে।

এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, হামলার পর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং তার ড্রাইভার রওশন ও আমিরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আক্রমণের মূলহোতা সবুরকে আটক করা হয়েছে।

অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চাপিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দীন ভুট্টোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততার অজুহাতে ফোন রেখে দেন তিনি।

আরো পড়ুন- শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: সাবেক এমপিসহ ৫০ আসামির সাজা