তৃতীয় দফায় স্বেচ্ছায় নোয়াখালীর ভাসানচরে আরও ৫ হাজার রোহিঙ্গা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরে যাওয়ার এক মাসের মাথায় বৃহস্পতি ও শুক্রবার (২৮ ও ২৯ জানুয়ারি) চার ভাগে তাদের নিয়ে ক্যাম্প ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। প্রথম ভাগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্প ছেড়েছেন কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের একটি দল। এমনটি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
পরে বিকালে আরও ১২টি বাসে চট্টগ্রামের পথে বের হওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবারও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন।
আগের মতো উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে দিনে দুভাগে ভাগ করে বাসগুলো চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি রেখেছেন সংশ্লিষ্টরা। উখিয়ার মূল ক্যাম্প ছাড়াও পুরো ৩৪ ক্যাম্প থেকেই ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা ট্রানজিট পয়েন্টে বুধবার বিকেল থেকে আসতে শুরু করে। বাকিরা বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে এসে পৌঁছায়। শুক্রবার যারা ভাসানচরের পথে বের হবে তারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ও শুক্রবার সকাল-দুপুরে ট্রানজিট পয়েন্ট আসবে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা। দুদিনের যাত্রায় প্রায় ৮০টি বাস, একাধিক ট্রাক ও প্রয়োজনীয় অন্য যানবাহন প্রস্তুত রয়েছে।
জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের মধ্যে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুকরা সংশ্লিষ্ট শিবিরে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তার (সিআইসি) নিকট তালিকা জমা দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত দুই দফায় ৪০৬টি পরিবারকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে এক হাজার ৬৪২ জন এবং ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে এক হাজার ৮০৪ জনসহ মোট তিন হাজার ৪৪৭ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী মিয়ানমারে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে এ দেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।
আরো পড়ুন- নোয়াখালীতে ৫ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই