শীতকালে কিছু নতুন নতুন রোগব্যাধিতে মানুষ আক্রান্ত হয়। আবার শীতে আর্দ্র বা ঠাণ্ডা আবহাওয়া মানুষের স্বাস্থ্য ও মন-মেজাজকে প্রভাবিত করে। এই সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে শীতকালে ফিটনেস ধরে রাখা, ওজন বৃদ্ধি রোধ এবং স্বাস্থ্য সমস্যা রোধে কিছু খাদ্যের রয়েছে বেশ ভূমিকা। শীতকালে স্বাস্থ্য সহায়ক কিছু খাবার হলো :
তাজা ফলমূল ও শাক-সবজি
ফল ও শাক-সবজি প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ‘এ’, খনিজ ও ফাইটোকেমিক্যাল সরবরাহ করে, যা সংক্রমণের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এ জন্য বেছে নিতে পারেন ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, শসা, ব্রকোলি, শালগম, বিভিন্ন ধরনের শাক ইত্যাদি।
ভিটামিন ‘সি’ : অসুস্থতার তীব্রতা হ্রাস ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ‘সি’। এই করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে সবার নজর দেওয়া খুব জরুরি। এ জন্য খাওয়া যেতে পারে সাইট্রাসযুক্ত ফল লেবু, আমড়া, আমলকী, জলপাই, কমলা ইত্যাদি।
লাইকোপেনসমৃদ্ধ খাবার
লাইকোপেনসমৃদ্ধ খাবারগুলোতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে বেশি, যা দেহের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এ জন্য বেশি করে টমেটো, গাজর, লাল চেরি, লালশাক ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
জিংক : ইমিউন সিস্টেম সচল রাখতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে জিংক। এ জন্য খাওয়া যেতে পারে দুধ, ডিম, লাল মাংস, মটরশুঁটি, বাদাম, গোটা শস্যদানা ইত্যাদি জিংকসমৃদ্ধ খাবার।
ভিটামিন ‘ডি’ : শীতকালে সূর্যের আলো প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় না। ফলে দেহে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি হতে পারে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ জন্য খাওয়া যেতে পারে ডিম, কমলার রস, মাশরুম, চিজ, পনির, ঘি, বাটার, তিল, দুধ ইত্যাদি।
পানি : শীতকালে হাইড্রেট থাকা খুব জরুরি। তা না হলে দেহ পানিশূন্য হয়ে স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ জন্য খেতে হবে পর্যাপ্ত পানি। এর পাশাপাশি খাওয়া যেতে পারে বিভিন্ন রসালো ফল, যেমন : কমলা, আঙুর, স্ট্রবেরি, তরমুজ, বিভিন্ন সবজির স্যুপ ইত্যাদি।
আরো পড়ুন- কাঁঠাল খেলে কত উপকার জানেন?
হরমোনের তারতম্য রক্ষায়
শীতের সময় দেহে সেরোটোনিনের মাত্রা কমে যেতে পারে। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে কম সূর্যের আলোর অভাবে ঘুমের হরমোন ‘মেলাটোনিন’ বেশি উৎপাদিত হয়। তখন ক্লান্তি বা অলসতা বেড়ে যেতে পারে। এ জন্য দৈনন্দিন খাবারের পাশাপাশি খাওয়া উচিত বাদাম, আস্ত শস্যদানা, মিষ্টি আলু, বিট, স্কোয়াশ, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি খাবার।