ঘি পরিমিত পরিমাণে খেলে আর স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি করা হলে ঘিয়ের আছে অসংখ্য উপকারিতা।
তবে ঘি নিয়ে অনেকেই ভুল ধারণা করে থাকেন। জেনে নিন ঘি নিয়ে ভুল ধারণাগুলো সম্পর্কে:-
ধারণা: ঘি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
ঘিয়ের একটি অন্যতম উপাদান হল ‘মনোআনস্যাচুরেইটেড ফ্যাটি অ্যাসিড’ যা একধরনের স্বাস্থ্যকর ভোজ্য চর্বি, যদি পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করা হয়। এজন্য কতটুকু ঘি দৈনিক খাচ্ছেন সেদিকে অবশ্যই কড়া সতর্কতা চাই।
কিছু বিশেষজ্ঞ গবেষণার আলোকে দাবি করেন, “যকৃতের ক্যান্সারকে দমিয়ে রাখতে পারে ঘি। যে ‘এনজাইম’ যকৃতে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানকে সক্রিয় করে সেই ‘এনজাইম’য়ে উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে এই কাজ করে ঘি।
ধারণা: ঘি খেলে ওজন বাড়ে
ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ঘি পছন্দ হওয়ার পরেও এড়িয়ে চলেন। তবে ঘিয়ে থাকা ‘লিনোলিক অ্যাসিড’ আসলে ওজন বাড়াতে নয় বরং ওজন কমাতেই সহায়ক। পাশাপাশি এই উপাদান অন্ত্রে ‘প্লাক’ জমতে দেয় না। ফলে এর সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। তাই একবেলার খাবারে এক চামচ ঘি খেলে তা ওজন বাড়াবে না।
ধারণা: হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হয় ঘি খেলে
বয়স্করা হৃদরোগের ভয়ে ঘি এড়িয়ে চলেন। যাদের হৃদরোগ আছে তাদের মন খারাপ হবে বলে বাড়িতে ঘি আনাই বন্ধ করে দিতে দেখা যায়। অথচ এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লিনোলিক অ্যাসিড, পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি সবই হৃদরোগ থেকে কিছু মাত্রায় সুরক্ষা দেয়। মূলত রক্তনালীতে চর্বি জমার আশঙ্কা কমায় ঘি।
আরও পড়ুন:- অ্যালোভেরা দূর করবে ব্রণ
ধারণা: ‘ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট’রা ঘি খেতে পারে না
ঘি যেহেতু দুধ থেকেই তৈরি হয় তাই ‘ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট’ হলে ঘি খাওয়া যাবে না বলে মনে করা হয়। আসলে দুধের যে শক্ত অংশ ‘ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট’দের সমস্যার কারণ হয় সেটা ঘিয়ে থাকে না। তাই ঘি খেলে কোনো শারীরিক সমস্যাতেও ভুগতে হবে না।
ধারণা: ঘি দিয়ে রান্না করা ক্ষতিকর
সব তেলের একটি ‘স্মোকিং পয়েন্ট’ থাকে; যে তাপমাত্রায় তা বাষ্পে পরিণত হয়। ঘিয়ের ‘স্মোকিং পয়েন্ট’ অনেক বেশি, প্রায় ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই ঘি সহজে ভেঙে মুক্ত মৌলে পরিণত হয় না। এজন্য ঘি রান্নার ক্ষেত্রে কিছু তেলের তুলনায় নিরাপদ।
আরও পড়ুন– প্রতিদিন মধু খাওয়ার উপকারিতা