রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগে র্যাবের করা এক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারের শীর্ষ স্থানীয় একটি ব্রোকারেস হাউজের কর্ণধার মিনহাজ মান্নান ইমনকে।
- র্যাবের এই মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে, তার মধ্যে সুইডেনে থাকা সাংবাদিক তাসনিম খলিল ও জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন রয়েছেন।
মঙ্গলবার এই মামলায় রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, ব্যবসায়ী মুশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার আটক করা হয় মিনহাজ মান্নানকে।
বিএলআই সিকিউরিটিজের কর্ণধার মিনহাজ মান্নান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একজন পরিচালক।
র্যাব-৩ এর কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবু জাফর মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, মিনহাজকে (৫২) বুধবার ঢাকার বনানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাতে তাকে রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। একই সঙ্গে থানায় তুলে দেওয়া হয় আগের দিন বাসা থেকে তুলে নেওয়া দিদারুলকে।
রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, “রাত পৌনে ৮টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-৩।”
র্যাব-৩ এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দিকের করা এই মামলায় মঙ্গলবার গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট কিশোর ও মুশতাককে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার কিশোর ও মুশতাককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- দিদারুল ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নান, আসিফ মহিউদ্দিন, তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, আসিফ ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার।
ফেইসবুকে ‘I am Bangladeshi’ পেইজে সম্পৃক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিশোর, মুশতাক, দিদারুলকে, যে পেইজ থেকে রাষ্ট্রের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল বলে র্যাবের দাবি।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফেইসবুক ব্যবহার করে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দিদারুল ও মিনহাজ ফেইসবুকে মুশতাকের ‘ফ্রেন্ড’ উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে, “তাদের সাথে হোয়াটস অ্যাপ ও ফেইসবুক মেসেঞ্জারে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।”