কৃষির সুরক্ষায় কি করবেন?

করোনা পরবর্তী সময়ে কৃষির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের পাঁচ বাছর বা দশ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় উন্নত দেশ থেকে ঋণ পাওয়ার সম্ভবনা কমে যাবে। ফলে দেশীয় সীমিত সম্পদের ব্যবহার করে কিভাবে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জিত হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। কৃষি, প্রাণিজ সম্পদ এবং মৎস্য সম্পদ বিভাগের সমন্বিত পরিকল্পনায় দেশের কৃষি খাত ফিরে পেতে পারে তার হারানো গৌরব। সংকট মোকাবেলায় নিচের পদক্ষেপগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা যেতে পারে-

• সরকার করোনা পরবর্তী কৃষির ঘাটতি মোকাবেলায় ৫০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কৃষকদের মাঝে সহজ শর্তে প্রদত্ত ভর্তুকি যেন প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিনা মূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি ভর্তুকি প্রাপ্তি সহজ করতে হবে। প্রয়োজনে আগের ঋণের সুদ মওকুফের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করতে হবে।

• সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুতে ভর্তুকি দিতে হবে। জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস করে সবাইকে সেচ সুবিধার আওতায় আনতে হবে। বিএডিসির সেচ প্রকল্প সম্প্রসারণ করতে হবে। গ্রাম ভিত্তিক গভীর নলকূপ স্থাপনে সরকারি ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।

• আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষককে দক্ষ করে তুলতে হবে। করোনায় শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় বীজ বপন, ধান মাড়াই বা ফসল কর্তনের আধুনিক যন্ত্রগুলোর ব্যবহারে অভ্যস্ত করতে তুলতে হবে। সরকার প্রতিটি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টরের উপর পনেরো লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে। এসব যন্ত্রের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি কৃষির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

লেখক: কৃষিবিদ মো. কামরুল হক

আরো দেখুন : লিচুর ভালো ফলন হলেও করোনায় বিক্রি নিয়ে শঙ্কা, কীটনাশকের কারণে ঝুকির মুখে কৃষি