যে বই নতুন করে ভাবতে শেখায়

মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি সঞ্চয় ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন একজন ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারা জগতের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।অন্যদিকে, হতাশার করাল গ্রাসে একজন মানুষ ছিটকে যেতে পারে সাফল্যের পথ থেকে। অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনামূলক প্রবন্ধের সমন্বয়ে এবারের বই মেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে মানুষের রহস্যময় মনোজগতের বিশ্লেষক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়ার একটি বই।

“সুখ-সাফল্যের মায়াবী জগৎ” বইটি নতুন করে ভাবতে শেখায় মানুষকে। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী সৈয়দ লুৎফুল হক এর প্রচ্ছদ সুখপাঠ্য বইটিতে যোগ করেছে দৃষ্টিনন্দন মাত্রা”।
জীবন নদীতে নিয়তই চলে সাফল্য-ব্যর্থতার জোয়ারভাটা। এ জোয়ার ভাটায় সফলতাকে বেছে নিয়ে সার্থকতার দিকে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের উদ্দেশ্য। তবে জীবনের মায়াবী যে জগৎ রয়েছে তাতে প্রবেশ করতে প্রথমেই প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। মানব মনের রহস্যময় জলাশয়ের গহীনে সুখ ও দুঃখ দুটোই নিত্য খেলা করে। এই রহস্যময় জলাভূমির একটি পরিষ্কার মানচিত্র পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। লেখকের জীবন থেকে নেয়া অভিজ্ঞতা, দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞার সমন্বয়ে লিখিত এই বইটিকে মলাটবদ্ধ করে প্রকাশ করেছে চয়ন প্রকাশন।
বইটির রচনাদর্শ সত্যিই ব্যতিক্রমী। বইটিতে স্থান পেয়েছে অসাধারণ সব বিষয়বস্তু- নীড় ছোট ক্ষতি নেই আকাশ তো বড়, নিজের দায়িত্ব নিজে নিন, শান্তি কোথা পাই, সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু, সুখ-দুঃখের সাতকাহন, মানুষ মানুষের জন্য, সময় গেলে সাধন হবে না, হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব, জীবনের গল্প এতো ছোট নয়, কাজ দিয়ে বুনি স্বপ্নের জাল, পথ আমার গন্তব্য নয়-এবার আমি মানুষ হবো, অবিনশ্বরের তরে নশ্বরের অভিযাত্রা, দুঃখ কিসে যায়, ইতিবাচকতায় সাহস আসে, জীবন সেতো বহুরুপী, চাপ-তাপ-উত্তাপ, এমপ্যাথি, আশায় বসতি, সফলতার চিরন্তন সূত্র, সফলতার অ আ ক খ, মানুষ চলে মনের বলে, আশা চাই ভালোবাসা চাই, লক্ষ্য হোক অটুট, ভয় কে জয় করে এগিয়ে যেতে হয়, সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্তহীনতা আর দীর্ঘসূত্রিতা, আÍনির্মাণ, বর্তমানে বসবাস ও ঈগলের চোখ।

প্রতিটি বিষয়ই জীবন ঘনিষ্ঠ যা নিমেষেই একটি পর্ব থেকে পরবর্তী পর্বের দিকে সহজেই টেনে নিয়ে যাবে। লেখক মন-মননে একজন দরদী মানুষ। তিনি স্বপ্ন দেখেন দরদী সমাজ ও মানবিক পৃথিবীর। বইটি পাঠককে সুখ সাফল্য বিষয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে।
অনলাইন পরিবেশক রকমারির হটলাইন ১৬২৯৭- এ ফোন করে যে কেউ ঘরে বসে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।