দক্ষিণ মেরুর উত্তর প্রান্তের ‘এসপ্যারেঞ্জা বেসে’র তাপমাত্রা বর্তমানে ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস! অ্যান্টার্কটিকার ইতিহাসে যা একটি রেকর্ড। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অ্যান্টার্কটিকার বরফের বিশাল বিশাল পুরু চাঙগুলো ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। চিড় ধরতে শুরু করেছে অ্যান্টার্কটিকার বিশাল বিশাল গ্লেসিয়ারগুলোতে। এভাবে বরফ গলতে থাকলে আগামী ১০০ বছরে সমুদ্রের পানির স্তর অন্তত ১০ ফুট উঁচু হতে পারে। সেটি হলে পৃথিবীর অনেক দেশের বহু শহর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। বিশ্বের ১৯৩টি সদস্য দেশের সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও)’ সম্প্রতি এ খবর দিয়েছে।
‘ডব্লিউএমও’ জানিয়েছে, উষ্ণায়নের দরুন কুমেরুর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি আগের সব রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। ২০১৫ সালে অ্যান্টার্কটিকার একটি অংশের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপরের তিন বছরেই তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। ২০১৫ এর প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বলা হয়েছিল, বাতাসে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে না পারলে ২১০০ সালে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অন্তত ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। সেটি হলে দুই মেরুর বরফ খুব দ্রুত গলতে শুরু করবে। যার জেরে উদ্বেগজনকভাবে বাড়বে সমুদ্রের পানির স্তর। —আনন্দবাজার