কোন ভ্রমণ নথির মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দরজা খোলা যায়? উত্তর—জাপানের পাসপোর্ট। সম্প্রতি প্রকাশিত হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সে জাপানের পাসপোর্টকেই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন দশকের প্রথম সূচকটি গত সপ্তাহে প্রকাশ করে হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স। এতে ভিসামুক্ত ও ভিসা অন অ্যারাইভাল বিবেচনায় সূচকের শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে জাপান। বিশ্বের ১৯১টি দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে দেশটির পাসপোর্টধারীদের আগে থেকে ভিসা নিতে হয় না।
তালিকায় যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েরই অবনমন হয়েছে। ২০১৫ সালে দুটি দেশ যৌথভাবে শীর্ষস্থানে থাকলেও ক্রমে এটি নেমে আসছে। এ বছর এ দুই দেশ যৌথভাবে তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে। একই অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে, গ্রিস ও বেলজিয়ামও। পাঁচটি দেশেরই স্কোর ১৮৪। ব্রেক্সিটসহ নানা ধরনের অনিশ্চয়তা বিদ্যমান থাকায় যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টের শক্তির এ অবনমন শিগগির থামবে না বলে মন্তব্য করা হয়েছে সিএনএনের প্রতিবেদনে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এ সূচকে জাপানের পাশাপাশি এশিয়ার অন্য দেশগুলোও বেশ ভালো করেছে। সূচকের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটির পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ১৯০টি দেশে আগে থেকে ভিসা না নিয়েই ভ্রমণ করতে পারেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়া। উভয় দেশের স্কোর ১৮৯। পাসপোর্টের শক্তি বিবেচনায় সেরা দশের তালিকায় এর পর শুধু ইউরোপের জয়জয়কার। ফিনল্যান্ড ও স্পেন রয়েছে তালিকার চতুর্থ স্থানে। পরের অবস্থানে রয়েছে যৌথভাবে লুক্সেমবার্গ ও ডেনমার্ক। সুইডেন ও ফ্রান্স রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে।
সূচকে ১৮৩ স্কোর নিয়ে নবম অবস্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, মাল্টা, চেক রিপাবলিক, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। আর দশম অবস্থানে রয়েছে স্লোভাকিয়া, লিথুনিয়া ও হাঙ্গেরি। তাদের স্কোর ১৮১।
তালিকায় সবচেয়ে বড় চমকটি অবশ্য দেখিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত এক দশকে দেশটির অবস্থান ৪৭ ধাপ এগিয়েছে। সর্বশেষ সূচকে ১৭১ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১৮তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকায় সবার নিচে রয়েছে আফগানিস্তান। এবারের সূচকে ২৬ স্কোর নিয়ে দেশটি সবার নিচে অবস্থান করছে।