খাঁটি মধু চেনার যত উপায়

স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী উপাদান মধু। প্রাচীনকাল থেকে মধুর প্রয়োজনীয়তা ধরে রেখেছে মানুষ। এতে রয়েছে একাধিক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মধু ও দারচিনির মিশ্রণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পিত্ত থলির সংক্রমণ রোধ করতে, বাতের ব্যথায়, মুখের দুর্গন্ধ কাটাতে, এমনকি শরীরের বাড়তি ওজন কমাতেও মধু খুবই কার্যকরী উপাদান।

তবে বাজার থেকে মধু কিনতে গেলে প্রয়োজন সচেতনতার। ভেজাল পণ্যের ভিড়ে কীভাবে চিনবেন আসল মধু।

সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নাম দিয়ে ভেজাল, রাসায়নিকযুক্ত উপাদান বিক্রি করা এখন খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। শুধু তাই নয়, অনেক নামী কোম্পানির প্রক্রিয়াজাত মধুতেও মেলে ভেজাল।

আসুন জি নিউজের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক খাঁটি মধু চিনে নেওয়ার কয়েকটি সহজ উপায়।

১. মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে কোনো ঝাঁজালো ভাব থাকবে না।

২. মধুতে কখনো কটু গন্ধ থাকবে না। খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয়।

৩. শীতের দিনে বা ঠান্ডায় খাঁটি মধু দানা বেঁধে যায়।

৪. এক টুকরো ব্লটিং পেপার নিন, তাতে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। যদি কাগজ তা সম্পূর্ণ শুষে নেয়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।

৫. এক টুকরো সাদা কাপড়ে মধু মাখান। আধ ঘণ্টা রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি দাগ থেকে যায়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।

৬. একটি মোমবাতি নিয়ে সেটির সলতেটি ভালোভাবে মধুতে ডুবিয়ে নিন। এবার আগুন দিয়ে জ্বালানোর চেষ্টা করুন। যদি জ্বলে ওঠে, তাহলে বুঝবেন যে মধু খাঁটি। আর যদি না জ্বলে, বুঝবেন যে মধুতে পানি মেশানো আছে।

৭. বেশ কিছুদিন ঘরে রেখে দিলে মধুতে চিনি জমতেই পারে। বয়ামসহ মধু গরম পানিতে কিছুক্ষণ রেখে দেখুন। এই চিনি গলে মধু আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কিন্তু নকল মধুর ক্ষেত্রে এটা হবে না।

৮. গ্লাসে বা বাটিতে খানিকটা পানি নিন। তার মধ্যে এক চামচ মধু দিন। যদি মধু পানির সঙ্গে সহজেই মিশে যায়, তাহলে এটি ভেজাল। আসল মধুর ঘনত্ব পানির চাইতে অনেক বেশি, সেটি সহজে মিশবে না। এমনকি নাড়া না দিলেও মধু পানিতে মিশবে না।