পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্প উন্নয়নের যে প্রচেষ্টা, তাতে ওয়ালটন নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। ওয়ালটন এ খাতে লিডার। অন্যরা তাদেরকে অনুসরণ করে। দেশের প্রতিটি ঘরেই ওয়ালটনের কোনো না কোনো পণ্য আছে।
সোমবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে তিনি ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেছেন। সকালে কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ এবং পরিচালক সাবিহা জারিন অরনা।
পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ওয়ালটন কারখানা অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। পরিবেশ সম্মতভাবে তাদের স্থাপনাগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। তাদের ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট চালু আছে, যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে
ওয়ালটন হাই-টেকের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের মতো ইলেকট্রনিক্স শিল্প সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি প্রমাণ করে সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা ঠিক পথেই আছি। সরকারের সে উদ্যোগের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওয়ালটন এসডিজির ৮ ও ৯ নম্বর লক্ষ্য বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
প্রতিমন্ত্রী ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে তিনি ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর, মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, এলইডি টেলিভিশন, কম্পিউটার-ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং লিফট উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।