রায়পুরে পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতির বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ

মাজহারুল আলম: রায়পুরে নবাগত এসপির মতবিনিময় সভায় রায়পুর পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি জনাব,কাজী জামশেদ কবির বাক্কি বিল্লার আংশিক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ।

আজ সকাল ১১ঃ০০ টায় লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার জনাব,মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফ মহোদয়ের রায়পুরের সকল শ্রেনী-পেশার সুধী সমাজের সাথে মতবিনিময় সভায় আমি মুহাম্মদ ইউনুসকে জড়িয়ে মিথ্যা,বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য রাখেন রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী জামশেদ কবির বাক্কি বিল্লাহ।বক্তব্যে তিনি বলেন,ইউনুস বাহিনী রাতে পাহারা দেয় লাঠি, রামদা,চাইনিজ কুড়াল ও সাপাল নিয়ে এবং সিএনজি চ্যাক করে।মাইকে ঘোষণা দেয় ডাকাত ডাকাত বলে।

এমনকি কেরোয়ার ডাকাতির ঘটনায় রক্তাক্ত একজন বৃদ্ধার ঘটনাকে তিন সিনক্রিয়েট বলে মিথ্যাচার করেন।তিনি আরো অভিযোগ করেন,যারা পাহারা দেয় তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সামাজিক অন্যায়,অত্যাচারের ইতিহাস জড়িত। আমি তার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।মূলত ইউনুস বাহিনী বলতে কেরোয়ায় কোন বাহিনী নেই, আমি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কেরোয়ায় সামাজিক কর্মযজ্ঞ ও মানবিক কাজ করে আসছি।

সমাজের যেকোন অন্যায় ও অনাচারের বিরুদ্ধে আমি সবসময় তৎপর ছিলাম।এমনকি জাতীয় দূর্যোগ করোণা মহামারীর সময় আমি অক্সিজেন সহযোগিতা ও খাদ্য সহায়তা নিয়ে আমি মানুষের পাশে ছিলাম।শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ,রমাজানে ইফতার সামগ্রী বিতরণ,স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি,বৃক্ষরোপন কর্মসূচি,মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান সহ অসংখ্য সামাজিক কর্মযজ্ঞের সাথে আমি সম্পৃক্ত।

কেরোয়ার দীর্ঘদিনের ডাকাতির ঘটনা প্রশাসন,সাংবাদিকমহল,গোয়েন্দা সংস্থা ও রায়পুর ও লক্ষ্মীপুরবাসী অবগত। সাম্প্রতিক সময়ে ডাকাতিকালে একজন বৃদ্ধ মহিলাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনায় দেশের সচেতনমহলকে নাড়া দিয়েছে।

এর আগেও কেরোয়ায় অসংখ্য ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এমনকি কেরোয়ার কৃতি সন্তান, একজন এসপির বাড়িতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।তাই আমরা সামাজিকভাবে এই ডাকাতির বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার হই এবং প্রশাসন ও ইউপি মেম্বারকে অভহিত করে পাহারার ব্যবস্থা করি।

পুলিশ সুপার মহোদয় সহ রায়পুর থানা প্রশাসন,ওসি মহোদয় কেরোয়ার ডাকাতি প্রতিরোধে অত্যন্ত আন্তরিক এবং যথেষ্ট তৎপর। উনারা সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখছেন এবং ডাকাত নির্মুলে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। প্রতি রাতে পুলিশের কয়েকটি টিম কেরোয়ার ডাকাত প্রতিরোধে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।আমরা গ্রাম পুলিশ সহ পাহারা দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সহায়তা করে আসছি অথচ জনাব,বাক্কি বিল্লাহ সাহেব মিথ্যাচার করেন,আমাদের হাতে নাকি রামদা,চাইনিজ কুড়াল ও সাপাল ছিল।

তিনি বলেন,আমরা রাতে সিএনজি চ্যাক করি এটিও ডাহা মিথ্যা। সিএনজি মূলত প্রশাসনের লোকজন চ্যাক করে। তিনি আরো বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে সামাজিক অন্যায় ও অত্যাচারের ইতহাস জড়িত অথচ সমাজের সকল মানুষ আমার সামাজিক ও মানবিক কাজে সবসময় সন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন।জনাব,বাক্কি বিল্লাহ সাহেব সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন।

যাহার ফলে আমার মানহানি হয়েছে এবং এর ফলে সমাজে ভাল কাজে তুরণরা উৎসাহ হারাবে বলে আমি মনে করি। আমি এই মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং উনার মতো একজন প্রবীণ রাজনৈতিক নেতাকে আরো দায়িত্বশীল আচরণ ও বক্তব্য দেয়ার উদাত্ত আহবান জানাই। মুহাম্মদ ইউনুস সমাজকর্মী।