বিশ্বটা আজ পুড়ছে যখন: মুহম্মদ আনোয়ার সাদাত

নিউজ ডেস্ক: জলবাযু পরিবর্তনে এই বিশ্বায়ানে অসিস্ত রক্ষায় প্রানান্তকর যে চেষ্টায় আমরা রত তার শেষ কোথায়। এই পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পরিবেশের সাথে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখার বিপরিতে যে আত্মঘাতি সিদ্ধান্তসমূহে অটল রয়েছি তার ফলাফলে যে প্রতিশোধের মুখোমুখি হচ্ছি সেখানে আজ যে কথাটি মনে হচ্ছে “god always forgives man often forgives But ,nature never forgives” কয়েক বছর পূর্বে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে বড় বড় কাছিম সমুদ্র পাড়ে মরে ভেসে আসার খুব শংকা হচ্ছিল।

এখন প্রায়ই তিমি সহ নানা জলজ প্রাণির মৃত্যুর খবর, সুন্দর বনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রতিনিয়ত কমে যাওয়ার খবর মনকে ব্যথিত করে । বনাঙ্নাচল ধ্বংস, বন্যপ্রাণি পাচার ও হত্যায় জড়িত ব্যক্তি বা মহলকে দ্রুত কঠোর শাস্তর আওতায় আনতে হবে । অতি নগরায়ন, প্লাস্টিকের আর্বজনা , ইটের ভাটায় ফসলি জমি কান্না এসি ফ্রিজের ভিড়ে মানবতার হাহাকার আজ অস্তিত্বের সংকট তৈরি করেছে।

ফসলি মাঠে রাসায়নিক বালাইনাশক এর যে ব্যবহার সুদূরপ্রসারি স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টিসহ পরিবেশের যে ক্ষতি করছে তা থেকে বেরিয়ে এসে এখনি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। চিকিসা বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, জলবায়ু পরির্বতনের কারনে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে হাজার বছর ধরে সুপ্ত থাকা ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমনে ভবিষ্যতে নানান রোগরে প্রার্দুভাবের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

ছোটবেলায় জোনাকপোকা , প্রজাপতি, ফড়িং, টুনটুনি, বাবুই, মাছরাঙ্গা, দাড়কাক, শকুন গুইসাপসহ নানা প্রজাতির প্রাণির যে অবাধ বিচরন দেখেতে পেতাম তা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে । ঘুঘু-ডাহুক এর ডাক , ব্যাঙ এর আওয়াজ, কোকিলের কুহ কুহুতান, অতিথি পাখির কলকাকলি অথবা কৃষ্ণচূড়া, জারুল,সোনালু, দোলনচাপা, কাঠালচাপা দোপটি শিউলি পলাশ সহ নানান প্রজাতি আজ প্রায় হারিয়েছে । অনেক দেরিতে হলেও দেশে বিশেষত ঢাকার চারপাশে নদী ও খাল পুনরুদ্ধারের যে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে তা পরিবেশ রক্ষায় এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ। raise your voice, “save nature sustain future”.

মুহম্মদ আনোয়ার সাদাত
সহকারী অধ্যাপক
মডারেটর-বিএনএমপিসি ইকো ক্লাব
সদস্য-নিউজিল্যান্ড বোটানিক্যাল সোসাইটি