সোনা চোরাচালান বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দুই প্রস্তাব দিয়েছে বাজুস

নিজস্ব প্রতিবেদক: সোনা চোরাচালান বন্ধে যৌথ কার্যক্রম গ্রহণে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ২ প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)। গেল আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর পাঠানো হয়। বাজুস সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যে সংগঠন বাংলাদেশ জুযেলার্স এসেসিয়েশন-বাজুস দেশের জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে। সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিরলস পরিশ্রমে প্রতিনিয়ত বড় হযচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পের বাজার।

এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল এখন রপ্তানির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে জুয়েলারী শিল্পে সোনা চোরাচালান বড় ধরনের সংকট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়ছে। চোরাচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না। চোরাচালানের ফালে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়ছে।

আমরা ধারণা করছি প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা ৩৬৫ দিন বা একবছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এ অবস্থায় চোরাচালান, মানিলন্ডারিং প্রতিরাধে ও জুয়েলারি শিল্পের চলমান সংকট মোকাবিলায় বাজুসের পক্ষ থেকে দুটি প্রস্তাব করা হলো-

১. সোনা চোরাচালান ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং চোরাকারবারিদের চিহিন্ত করতে বাজুসকে সম্পৃক্ করে যৌথ মনিটরিং সেল গঠন ও চোরাকারবারিদের দমনে প্রয়োজনে আইন সংশাধন করে আরও কার্যকর আইন প্রণয়ন করা।

২. ব্যাগেজ রুলের আওতায় সোনার বার ও অলঙ্কার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সংকট,
চোরাচালান ও মানিলন্ডারিংয়ে প্রভাব পড়ছে, তা নিরাপনে বাজুসকে যুক্ত করে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা
করা।

বাজুসের চিঠিতে বলা হয়, বাজুসের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে সোনা চোরাচালান প্রতিরোধ ও মনিটরিং কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় কমবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন বাজুসের প্রেসিডেন্ট।