হত্যার রহস্য উদঘাটন, কারাগারে আসামী

নুর উদ্দিন, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সুপারি বাগান থেকে অর্ধগলিত নারীর লাশ উদ্ধারের দুই দিনের মাথায় হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং মূল হোতা ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইলসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ১৮ আগষ্ট দুপুরে রায়পুর উপজেলার ১০ নং রায়পুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডস্থ চরপলোয়ান গ্রামের গনি মিয়ার মালিকানাধীন সুপারি বাগানে ২-৩ দিন পূর্বের অর্ধগলিত চেহারার একটি অজ্ঞাতনামা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

অতি অল্প সময়ের মধ্যে অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় সনাক্তপূর্বক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং উক্ত ঘটনার মূল হোতা মোঃ সোহাগ হোসেন (২৭) কে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইলসহ চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আসামী মো: সোহাগ হোসেন (২৭) ফৌ:কা:বি: ১৬৪ ধারায় উক্ত হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে অদ্য ২০ আগষ্টে লক্ষ্মীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেনের নিকট স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। নিহত লায়লা নুর মজুমদার (২৪) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের লালঘর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে ও দুবাই প্রবাসী আরিফুর রহমানের স্ত্রী। গত ১৬ আগষ্ট সে পিতার বাড়ি চৌদ্দগ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়।

আসামী সোহাগ হোসেনের বর্ণনা মতে, প্রেমের টানে আসামী সোহাগের সাথে ভিকটিম লায়লা বাড়ি থেকে বের হয়। আসামী সোহাগের বন্ধু রফিকের প্রলোভনে আসামী সোহাগ লায়লাকে রফিকের মামার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নিয়ে আসে। রফিকের মামার বাড়িতে আসামী সোহাগ ভিকটিম লায়লার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলে রফিকের মামী তাদের ঘর বের করে দেয়।

মামীর বাড়ি থেকে ফেরত আসার সময় রফিক সুপারি বাগানের ভিতর দিয়ে তাদেরকে নিয়ে আসার পথিমধ্যে সোহাগ ও রফিক মিলে ভিকটিম লায়লাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের সহযোগী রফিক হত্যাকাণ্ডের পরে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। আসামী সোহাগ হোসেনের বর্ণনা মতে, হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয় গত ১৬ আগস্ট রাত ৮ টায়।

তবে সোহাগের সহযোগী অপর আসামী রফিক বর্তমানে পলাতক রয়েছে। রায়পুর থানা পুলিশ কর্তৃক আসামী রফিককেও গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, আমরা অর্ধগলিত মহিলার লাশটি চিন্তিত করতে পেরেছি এবং উদ্ধারের দুই দিনের মাথায় হত্যার মূল হোতা ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইলসহ গ্রেফতার করেছি, সহযোগী অপর আসামী রফিককেও গ্রেফতার অল্প সময়ের করে ফেলবো।