জ্বালানি তেলের আগুনে পুড়ছে নিত্যপণ্যের বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর নিত্যপণ্যের বাজারে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। পরিবহণ ব্যয়ের অজুহাতে হু হু করে বাড়ছে সব ধরনের পণ্যের দাম। প্রায় প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের মূল্য আগের দিনকে ছাড়িয়ে দিগুন হয়ে যাচ্ছে। বাজারের এই চরম অস্থিরতায় দম বন্ধের মতো অবস্থা নিম্ন মধ্যবিত্তরা এরা জ্বালানি তেলের প্রভাবে যে পরিমাণ দাম বৃদ্ধির কথা তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ আদায় করছে গ্রাহকের কাছ থেকে। এদেরই এক অংশ হাত করে রেখেছেন বাজার পর্যবেক্ষণে জড়িত অসাধু কর্মকর্তাদের। ফলে খেয়াল খুশি মতো দাম বাড়িয়ে ব্যবসা করছে চক্রটি।

জ্বালানির অজুহাতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি দাম ৫৫ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। ২৫ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় গিয়ে হয়েছে। এ ছাড়া সবজি ও মাছ কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। নতুন করে পেঁয়াজের বাড়তি দাম ভোক্তার কপালে ভাঁজ ফেলছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার খেসারত দিচ্ছে ভোক্তা।

রাজধানীর নয়াবাজার, কাওরান বাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৪ টাকা, যা সাত দিন আগে ৪৫-৪৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি পাইজাম চাল বিক্রি হয়েছে ৫৬-৫৭ টাকা, যা সাত দিন আগে ৫২ টাকা ছিল। বিআর ২৮ চাল বিক্রি হয়েছে ৬০-৬২ টাকা, যা আগে ৫৫ টাকা ছিল। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৪ টাকা, যা সাত দিন আগে ৬৮-৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নাজিরশাল মানভেদে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৭৫-৯০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৭০-৮৫ টাকা ছিল। আর পোলাও চালের দাম বেড়েছে সব চেয়ে বেশি। কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। কাওরান বাজারের আল মদিনা রাইস অ্যাজেন্সির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে মিলাররা ডলারের দাম বৃদ্ধি ও আমদানি ব্যয় বেশির অজুহাতে সব ধরনের চালের দাম বাড়িয়েছে। এর মধ্যে আবার জ্বালানি তেলের কারণে পরিবহণ খরচ বেড়েছে। ফলে সব মিলে বাজারে চালের দাম বেড়েছে।

রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৪২ টাকা ছিল। প্রতিকেজি খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছে ৬২ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৫৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি চিনি ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগে ৮২ টাকা ছিল। প্রতি কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হয়েছে ১১০-১৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসা শনিবার বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা। পাঁচ টাকা বেড়ে এক কেজি পেঁপে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে চিচিঙ্গা, ধুন্দল, কাঁকরোল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগে ৬০-৬৫ টাকা ছিল। বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ ৩৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে, যা আগে ৩১০ টাকা ছিল। ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পাঙ্গাশ ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।।