বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে সহকর্মীদের ওয়ালটন সিইও’র নির্দেশনা

বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে এবং অপচয় রোধে সহকর্মীদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। চলমান বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে ঘাটতি মেটাতে বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সহকর্মীদের এমন নির্দেশনা দেন ওয়ালটন সিইও।

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপক বেড়েছে। যারফলে সারা বিশ্বেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং, ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

সরকারের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওয়ালটন সিইও হেডকোয়ার্টারে সব পণ্যের প্রোডাকশন প্ল্যান্ট, করপোরেটসহ সারা দেশে সব ধরনের অফিস, সেলস আউটলেট এবং সার্ভিস সেন্টারে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সর্বোচ্চ সাশ্রয়ী হতে নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে অন্যান্য সব বিষয়ে অপচয় রোধে সহকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট রয়েছে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতি মোকাবেলায় সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতোমধ্যেই ওয়ালটনের প্রোডাকশন প্ল্যান্টসহ সব অফিসে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনে সারা বিশ্বেই ওয়ালটন একটি প্রশংসিত নাম। ওয়ালটন ফ্রিজ-এসিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব আর-৬০০এ, আর-৪১০এ, আর-৩২ ইত্যাদি রেফ্রিজারেন্ট। ফলে ওয়ালটন পণ্য পেয়েছে বিএসটিআইয়ের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী রেটিং। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ওয়ালটন আরঅ্যান্ডআই (রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন) সেন্টার প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছে।

এর পাশাপাশি, পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উন্নত বাংলাদেশ নিশ্চিতে ‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’ শীর্ষক উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করছে ওয়ালটন।