কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে একদিন

প্রকৃতির এক অপরূপ সৃষ্টি সমুদ্র। সমুদ্র প্রকৃতিতে এনেছে বৈচিত্র্যতা। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি দেখে মনে হয় এর অতল গহ্বরে লুকিয়ে অনেক অজানা রহস্য। সমুদ্রের বুকভরা জলরাশি কখনো চঞ্চল গতিতে ছুটে চলে, আবার শান্তরূপ ধারণ করতেও দেখা যায়।

যখন ছোট ছিলাম তখন বাবা-মা, বড়াে ভাই-বােনদের মুখে সমুদ্রসৈকতের অপরূপ সৌন্দর্যের বর্ণনা শুনেছি ।এরপর থেকেই সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য দেখার জন্য আমি ব্যাকুল হয়ে পড়ি। বই-পত্র পড়ে, বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকদের কাছ থেকে সমুদ্রসৈকতের বর্ণনা শুনেছি। আমার কল্পনার জগতজুড়ে সমুদ্রসৈকত ছিল বিশাল। যেখানে ছিল পানি আর পানি।

প্রথম বারের মতো কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত দেখার সুযোগ পেলাম। সৃষ্টিকর্তার অপূরূপ সৌন্দর্য না দেখলে কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না, বইয়ের পাতায় পড়েছিলাম দেখতে এসে অনেক বেশি উচ্ছসিত হয়ে পড়ি। কতই না সুন্দর, তীরে এসে ঢেউ আছড়ে পড়ছে, বিশাল জলরাশি, চারপাশে মানুষের অনন্দ-উল্লাস থেকে আমার চিন্তার জগতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। মনে হচ্ছে, বিগত ২৫ বছরের সকল ক্লান্তি দূর হয়ে গেল।

সবার উচিত একবারের জন্য হলেও সমুদ্রসৈকতে যাওয়া। এতে করে, সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে দূর হয়ে যাবে সব ক্লান্তি। মনের স্বতিই তো সবকিছু। তাই একবার নয় সুযোগ পেলেই ছুটে আসব সমুদ্রসৈকত দেখার জন্য।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত : বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত অন্যতম। এ সমুদ্রসৈকত শুধু বাংলাদেশ নয়, এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের দৈর্ঘ্য ১৫৫ কিলােমিটার। কক্সবাজার জেলায় বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে এ সমুদ্রসৈকত অবস্থিত।

লেখক: স্বপন চন্দ্র দাস, শিক্ষার্থী, চাঁদপুর সরকারি কলেজ।