জামায়াতের রেজাউল করিম মন্টুসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

মানবতাবিরোধী অপরাধে

দেশ সমাচার ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা মো. রেজাউল করিম মন্টুসহ নওগাঁর তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপ্রতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ রায় দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ এবং আসামি পক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর এই মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তদন্তে ৩১ জনের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে। এ মামলায় আসামি ছিলেন চারজান। তারা হলেন- নওগাঁর মো. রেজাউল করিম মন্টু, মো. নজরুল ইসলাম, মো. শহিদ মণ্ডল ও মো.ইসহাক। তবে এর মধ্যে মো. ইসহাক (৬২) তদন্ত চলার সময়ই গ্রেফতার অবস্থায় মারা যান। এ কারণে তাকে অভিযোগ থেকে বাদ দেয়া হয়। বাকি তিন জনের মধ্যে মন্টু ও মণ্ডল কারাবন্দি রয়েছেন। বাকি আসামি নজরুল ইসলাম পলাতক।

২৬ এপ্রিল এ তিনজনের বিষয়ে উভয় পক্ষে শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামান (সিএভি) রাখা হয়েছিল। আজ রায় ঘোষণার দিন ২৯ মে ধার্য করে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এটি ৪৬ তম রায়।

তদন্ত সংস্থা জানায়, আসামি মো. রেজাউল করিম মন্টু ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী জয়পুরহাট জেলার আমির ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ওই সময় থেকেই তিনি জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

তদন্ত সংস্থা আরও জানায়, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মন্টু নিজ বাড়িতে চলে আসেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে তিনি আত্মগোপন করেন। বাকীরাও জামায়াতের সমর্থক।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানায় অপরাধ সংঘটন করে।

আসামিদের বিরুদ্ধে সাতজনকে হত্যাসহ অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ধ্বংস করার অভিযোগ আনা হয়।

সূূত্র: বাসস