শেয়ারবাজার নিয়ে চলতি বছরের শুরুতে থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতিবাচক অবস্থানের কারনে আস্তে আস্তে পতন চলছিল। সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সেই পতনে আরও তচনছ করে দেয়। বছরের সর্বোচ্চ ১৮২ পয়েন্ট হারানোরও রেকর্ড হয় শেয়ারবাজারে।
লম্বা সময় ধরে চলা দেশের শেয়ারবাজারের মন্দাভাব কাটাতে মঙ্গলবার (বিএসইসি) বিনিয়োগকারীদের তিন খবর দেয় বিএসইসি। প্রথমত, বাজারে নতুন করে সার্কিট ব্রেকার আরোপ, দ্বিতীয়ত, শেয়ারবাজার স্ট্যাবলাইজেশন ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং তৃতীয়ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা। এই তিন খবরের কারনে পাল্টে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। যে কারণে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (৯ মার্চ) দেশের শেয়ারবাজার বছরের সর্বোচ্চ উত্থান দেখা যায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএসইসির তিন খবরে শেয়ারবাজারের চিত্র পাল্টে গেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি দরপতন ঠেকাতে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমার নির্দেশনা বিনিয়োগকারীদের দারুনভাবে সাহস বাড়ায়।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে আজ প্রায় ১৫৬ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। এদিন উভয় বাজারে বেশিরভাগ শেয়ারের সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায়। উভয় বাজারে বিক্রেতাদের চেয়ে ক্রেতাদের বিরচণই বেশি ছিল। সূচকের বড় লাফের পাশাপাশি বেড়েছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর ও লেনদেন।
অন্যদিকে, বাজারকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য শেয়ারবাজার স্ট্যাবলাইজেশন ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশও বাজারের গতি বাড়িয়েছে।
এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারে ২০০ কোটি টাকার ফান্ড ব্যবহারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোও নড়েছড়ে বসেছে। যে কারণে বাজারে সিকিউরিটিজের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে।