সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আতঙ্ক অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নাজমুল

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের ৭নং কামারচাক ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক সেলিমের কুকীর্তি এলাকাবাসীর মুখে মুখে। স্থানীয় বিএনপি’র প্রভাবশালী নেতা থেকে ক্ষমতাসীন দলে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে পরিচিত চেয়ারম্যান নাজমুল হক সেলিম জেলা যুবলীগের সহ সভাপতির পদ বাগিয়ে ইউনিয়নের ত্যাগী নেতাদের চাওয়া-পাওয়ার তোয়াক্কা না করে ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেন।

সর্বশেষ দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনগর উপজেলায় নাজমুল হক সেলিম লাগাতার উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে থাকেন। সেই সাথে বিষয়টিকে স্থানীয়ভাবে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটান বলে চেয়ারম্যান নাজমুল হক সেলিমের বিরুদ্ধে রাজনগর থানা পুলিশ, জেলা বিশেষ শাখার নিকট সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

জানা যায়, কুমিল্লার ঘটনার কয়েকমাস আগেও নাজমুল হক সেলিমের বিরুদ্ধে স্থানীয় মন্দিরে ভাঙচুর ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের হোতা আখ্যায়িত করে মন্দির কমিটি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনাকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নাজমুল হক সেলিম ধামাচাপা দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এক সময় স্থানীয় জামাতের রাজনীতির ফ্রন্ট সাইটে থাকলেও পরে জামায়াত কোনঠাসা হওয়ায় বিএনপিতে যোগ দিয়ে ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিপক্ষে সরকার পতনের আন্দোলনে ফ্রন্টসাইটে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সুযোগ বুঝে যুবলীগে অনুপ্রবেশ করেই ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোনঠাসা করে সুকৌশলে নিজের প্রভাব বিস্তার করেন। নাজমুল হক সেলিম নিজের প্রভাব ও ক্ষমতা আরো পোক্ত করতে দায়িত্বশীলদের চোখে ধূলো দিয়ে যেকোনো মূল্যে মনোনয়ন বাগিয়ে নিবেন বলে এলাকাবাসীর অভিমত।

অভিযোগের বিষয়ে নাজমুল হক সেলিমের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল ধরেননি।