সমালোচনার জবাবে যা বললেন ডা.জাহাঙ্গীর

সম্প্রতি  ডা: হিসেবে জাহাঙ্গীর কবিরের কর্মকাণ্ডকে অবৈজ্ঞানিক, অসত্য, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে দাবি করে তার ভিডিওসমূহ ইউটিউব থেকে সরানোর আল্টিমেটাম দেয়  চিকিৎসকদের একটি সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিজ (এফডিএসআর)।

ডাক্তারদের সে সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে ডা.জাহাঙ্গীর বলেন , ”সুস্থ থাকার লক্ষ্যে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা নিয়ে আমি কাজ করছি এবং সেই লক্ষ্যে দীর্ঘ দিন ধরে আমার রোগীদের লাইফস্টাইল মডিফিকেশনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। ইদানিংকালে আমার একটি ভিডিও এবং দুইটি পোস্ট নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।”

ডা.জাহাঙ্গীর করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রদানকৃত বক্তব্যের ব্যাপারে বলেন ,”প্রথমত সুস্থ্য থাকার লক্ষ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আমি একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলাম- যেখানে করোনার ভ্যাক্সিন বিষয়ে কিছু তথ্য সহজভাবে বোঝাতে গিয়ে  অসাবধানতা বশত ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম এবং এটা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হলে আমি অত্যন্ত দ্রুততার সাথে ভিডিওতে যে তথ্যগুলো ভুল ছিল এবং যে কথাগুলো জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে – সেসব বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে পূর্বের ভিডিওটি অনলাইন থেকে সরিয়ে নিই । একইসাথে সকলকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাক্সিন দেওয়ার জন্য পরামর্শ- উৎসাহ দিয়েছি । এরপরেও কয়েকজন সম্মানিত ডাক্তার আমাকে ভুল বুঝে সরাসরি আমার নাম উল্লেখ করে নানান রকম পোস্ট করেন।”

তিনি আরও বলেন , “আমি কখনোই ঔষধ বিরোধী না ।  আমি মূলত পাঁচটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি : এর মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি অটোফেজি, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম ও মানসিক প্রশান্তির চর্চা করাকে সমানভাবে গুরুত্ব দেই। আমি সব সময় বলে এসেছি জরুরী চিকিৎসায় ঔষধ অপরিহার্য। তবে লাইফস্টাইল রোগগুলো লাইফিস্টাইল মডিফাই করে প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমিও আমার রোগীদের প্রয়োজনে ঔষধ লিখছি । সুতরাং ঔষধের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। আমি সাধারন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি যেন স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ঔষধ ছাড়া সুস্থ থাকতে পারেন। আমি মনে করি চিকিৎসক সমাজে আমরা সবাই সহকর্মী, একে অপরের সহযোগী।

এছাড়া তিনি আরও বলেন,  ”আমি নিজেও একজন চিকিৎসক, সবসময়ই প্রত্যেক চিকিৎসকের সম্মান রক্ষা ও অবদান স্বীকার – আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। বহু আগে থেকেই আমি নিজেও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, অধিকার এবং দায়িত্ব নিয়ে সোচ্চার আছি। সেই লক্ষ্যেই আমি ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস এন্ড রেসপন্সিবিলিটিস (FDSR) এর সাথে প্রোগ্রাম করেছিলাম । সেটা আমার পেইজ থেকে শেয়ার করেছিলাম সকলের উদ্দেশে। তবুও মানুষ হিসেবে আমি ভুলের উর্ধে্ব নই। তাই আমার কথায় হয়তো অনেক সহকর্মী – সিনিয়র চিকিৎসক কষ্ট পেয়েছেন কিংবা মনক্ষুন্ন হয়েছেন , আমি তাদের সবার প্রতি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং  ক্ষমাপ্রার্থী।”