শিক্ষার্থীদের সাথে সমঝোতায় রাইদা বাস কতৃপক্ষ

সমঝোতায় রাইদা বাস কর্তৃপক্ষ

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারন রাজধনীর বেশরি ভাগ বাসে হাফ পাশ নেই। যখন কোনো শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া নেওয়ার কথা বলে তখনই বাসের স্টাফরা যেন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। এক পর্যায়ে বাকযুদ্ধ তা থেকে মারামারি শেষ ধাপে সড়ক অবরোধ যার ফলে যানবাহন চলাচলে সৃষ্টি হয় বিঘ্নতা। এতে সাধারণ জনগণকে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। এর নেপথ্যে রয়েছে ছাত্রদের কাছ থেকে গণপরিবহনের হাফ পাশ না কাটা।

সোমবার রাজধানীর রামপুরায় এ বিষয়কে কেন্দ্র করে সৃ্ষ্টি হয় এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির। এর আগে রাইাদা পরিবহনের একটি বাস থেকে এক শিক্ষার্থীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নামানোর অভিযোগ ওঠে। কারণ উক্ত শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় এমন অমানবিক আচরণ করে রাইদা বাসের স্টাফরা।

তাদের এ আচরণে ক্ষু্ব্ধ হয়ে সহপাঠিীদের নিয়ে জড়ো হন সে শিক্ষার্থী। তারা রাইদা পরিবহনের ৫০ টি বাস আটকে রাখেন। সোমবার দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে এমনটি ঘটে। এতে করে রামপুরা সড়কে দীর্ঘ এক ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। তবে তাদের প্রতিবাদ বৃথা যায় নি। ঘটনাক কেন্দ্র করে রাইদা পরবিহনের মালিকপক্ষের সাথে শিক্ষার্থীদের মাঝে সমঝোতা হয়।

সোমবার বিকেল ৩ টা ৫০ মিনিটেে এ তথ্য  নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, তারা হাফ ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে রাজি হয়েছেন। তবে হাফ পাশ কাটার সময় ছাত্ররা অবশ্যই তাদের আইডি কার্ড দেখাতে হবে। নারীদের জন্য নির্ধারিত আসনে নারী ছাড়া পুরুষদের বসাবে না এ বিষয়ে সমঝোতায় নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিটিভি ভবনের সামনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চেকারকে হাফ পাশ কাটার কথা জানালে চেকার সেটি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে ওঠলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নামানোর মত অমানবিক কাজ করেন রাইদা বাসের স্টাফ।

তাতেই কপাল পুড়েও পুড়ল না রাইদা বাস মালিকপক্ষের করতে হলো ছাত্রদের সাথে সমঝোতা। পুলিশ প্রতিবাদ মুখর ছাত্রদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেন। এতে করে রামপুরা সড়কে যানবাহন চলাচল স্বভাবিক হয়। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কোনো পরিচয় পাওয়া যায় নি।