মেডিক্যালে ভর্তির আবেদন শুরু ১১ ফেব্রুয়ারি

গুচ্ছভুক্ত ভর্তি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। ফাইল ছবি

২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে প্রথম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ১১ ফেব্রুয়ারি, পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২ এপ্রিল। অনলাইনে ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে ১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞতিতে মেডিক্যালে ভর্তির আবেদন সংক্রান্ত এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, টেলিটক প্রিপেইড সিমের মাধ্যমে এক হাজার টাকা জমা দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।

যারা ২০১৭ বা ২০১৮ সালে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা এবং ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় (পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানসহ) উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা মেডিক্যালে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। ২০১৭ সালের আগে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

বিজ্ঞতিতে বলা হয়, দেশ কিংবা বিদেশে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯ হতে হবে। এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮ হতে হবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পার্বত্য জেলার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে । এছাড়া সবার জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩ দশমিক ৫০ থাকতে হবে।

এক ঘণ্টাব্যাপী ১০০ নম্বরের একশটি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান এক নম্বর। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নবিদ্যায় ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১০ নম্বর থাকবে।

লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে বলে জানানো হয়। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে নূন্যতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন ভর্তি্চ্ছুরা। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং ‘ও’ লেভেল ‘এ’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের পরিচালক স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর, মহাখালী, ঢাকা বরাবর দুই হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডারসহ আবেদন করে জিপিএ রূপান্তর করে সমমানের সার্টিফিকেট সংগ্রহের সময় আইডি নম্বর নিতে হবে। সমমানের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করার সময় এসএসসি সনদের সত্যায়িত কপি সঙ্গে আনতে হবে।

আরো পড়ুন- বাংলাদেশীদের জন্য নেপালে ট্রানজিট সুবিধা দিবে ভারত