মুশফিককে বিসিবির সতর্কবার্তা

টিভির সামনে বসে বাংলাদেশ পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ দেখার কথা ছিল মুশফিকুর রহিমের। কিন্তু ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে ডাক পড়ায় মিরপুরে হাজির হতে হয় তাকে। পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খানের রুম থেকেই মুশফিক দেখেছেন দলের লড়াই, সবশেষে পরাজয়।

ওই রুমে তার ডাক পড়েছিল ভিন্ন এক কারণে। এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে বাধ্যতামূলক বিশ্রামে পাঠিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রধান নির্বাচক মিনাহাজুল আবেদীনের দল ঘোষণার পর বলেছিলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওকে বিশ্রাম দিয়েছি।’ বলা হচ্ছিল, মুশফিকের চাওয়ার প্রেক্ষিতে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।

এমন কথা শোনার পর মুশফিক কয়েকটি গণমাধ্যম ডেকে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন। তিনি জানান, এতো বড় খেলোয়াড় হয়ে যাননি যে তার বিশ্রামের প্রয়োজন আছে বা বিশ্রাম চাইতে পারেন।’ মুশফিকের সোজাসাপ্টা কথা, ‘আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’

তার বক্তব্যের পর সমালোচনা হচ্ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের নিয়ে। টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিডিয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করায় অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে আজ ডেকেছিল ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। যেখানে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন আলোচনার পাশাপাশি মিডিয়ায় মুশফিকের বক্তব্য নিয়েও কথা উঠে। মুশফিক নিজের অবস্থান তুলে ধরেন। এরপর আকরাম খান তাকে সতর্ক করেন এবং মিডিয়ায় কথা বলতে মানা করেন।

এসব বিষয় নিয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ কিংবা মুশফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি।

২০০৮ সালের পর মুশফিক কোনো ফরম্যাটের বাংলাদেশ দল থেকে এই প্রথম বাদ পড়লেন। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর দলে পরিবর্তন আসবে তা স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের সঙ্গে অভিজ্ঞ মুশফিকও থাকবেন না তা ভাবতে পারেননি কেউ। বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ২০.৫৭ গড়ে তার রান ছিল ১৪৪। এর আগে নিউ জিল্যান্ড সিরিজেও তার পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী। টানা ব্যর্থতায় সুযোগের দাবিদার নন তিনি। তাকে সেজন্য বাদও দিয়েছে দল।