মুরাদ হাসান ও উপস্থাপক নাহিদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় চট্টগ্রামেও ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। একই মামলায় বিবাদী করা হয়েছে মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলাল নামে একজনকে। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস কে এম তোফায়েল হাসানের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম বদরুল আনোয়ার।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফোরামের চট্টগ্রাম ইউনিটের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কটূক্তির অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান (এমপি) ও বিতর্কিত ইউটিউবার মো. মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন, গত ১ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বক্তব্য দেন ডা. মুরাদ। যা জিয়া পরিবারসহ নারীসমাজের জন্য মানহানিকর এবং অপমানজনক। শিষ্টাচারবহির্ভূত এই ভিডিওটি দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। দেশের জনসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে দেশে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে সাক্ষাৎকারে অসৌজন্যমূলক কথা বলার পর ডা. মুরাদের একটি কথোপকথন ফাঁস হয়। যেখানে তিনি অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বলেন। ফোনে চিত্রনায়ক ইমনকে তিনি বলেন, ঘাড় ধরে যেন মাহিকে তার কাছে নিয়ে যান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ডা. মুরাদের শাস্তির দাবি ওঠে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তাকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান।

এদিকে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকাতেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের সেরেস্তায় এ মামলার আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী।

ইতোমধ্যে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইবুন্যালে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন বগুড়ার এক আইনজীবী।