অর্থমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে

ফলপ্রসূ বৈঠক

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অর্থমন্ত্রীর সাথে অংশীজনের মতবিনিময় হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১১টায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি শুরু হয়।

জানা গেছে, বৈঠকে শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ২০১৯ সালে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যেসব আলোচনা হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে কথা হয়েছে। এখন চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরও একটি বৈঠক করতে হবে। সেটি চলতি মাসে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হবে। ওই বৈঠকে পুঁজিবাজারের জন্য দৃশ্যমান কিছু দেখা যাবে।’

পুঁজিবাজার নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মধ্যে ইতিবাচক আলোচনার কথা জানিয়েছেন বৈঠকের প্রধান আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং শেয়ারবাজার কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকি কমিটির আহ্বায়ক মফিজ উদ্দীন আহমেদ। তবে যেসব বিষয় নিয়ে মতভেদ, সেগুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে আরও একটি বৈঠক করতে হবে বলে জানিয়েছে তিনি। বলেছেন, সেই বৈঠকের পরেই ‘দৃশ্যমান কিছু দেখা যাবে।’

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রতীক্ষিত এই বৈঠক হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, এনবিআর, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মনোনীত প্রতিনিধিসহ অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন। বেলা সোয়া দুইটার পর বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক বা বিএসইসির পক্ষে উপস্থিত কর্মকর্তারা কিছু বলেননি।

পরে মফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ২০১৯ সালে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যেসব আলোচনা হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে কথা হয়েছে। এখন চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরও একটি বৈঠক করতে হবে। সেটি চলতি মাসে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হবে।… ওই বৈঠকে পুঁজিবাজারের জন্য দৃশ্যমান কিছু দেখা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় বিরতির পর আমাদের মধ্যে এই বৈঠক হয়েছে। আমাদের আলোচনায় তথ্য উপাত্তের বেশ কিছু ঘাটতি ছিল যা আলোচনায় উঠে এসেছে। এ কারণে আরও একটি বৈঠক করতে হবে।’

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট গণনা পদ্ধতি আর বন্ডে বিনিয়োগ এই সীমার বাইরে থাকবে কি না- এ নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এগুলো খুবই সেনসিটিভ ইস্যু। এ ব্যাপারে এখনই কোনো কথা বলতে চাইছি না। এর জন্য আপনাদেরকে পরবর্তী বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

আরও আসছে…