পুঁজিবাজার নিয়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টিকারী আইডিগুলো নিস্ক্রিয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এরইমধ্যে ৩১টি আইডি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
বুধবার বিএসইসি,বিটিআরসি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির প্রতিনিধিদের সাথে ‘সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে করে শেয়ার বাজারে গুজব সৃষ্টি প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
এতে বিএসইসি’র প্রতিনিধিরা শেয়ার বাজারে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যে কোন তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের বাজার মূল্য বা অন্য কোন বিষয়ে পূর্বানুমান কিংবা বিনিয়োগকারীর স্বার্থ ক্ষুন্ন করে এমন মন্তব্য বা পোস্ট প্রতিরোধে গুরুত্বারোপ করেন।
গেলো ২৪ মে বিএসইসি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার বাজার নিয়ে গুজব রটনাকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে বিএসইসি’র পরিচালক রাজিব আহমেদ এর নেতৃত্বে সিডিবিএল ও ডিএসই এর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ডিএসই ইনভেস্টরস ক্লাব, উই ওয়ান্ট টু বি গেইনার, দ্য থার্ড আই, শেয়ার বাজার- ডিএসই ইনভেস্টরস ক্লাব, স্টক মার্কেট টুডে,পাবলিক বিজনেস ক্লাব, শেয়ার মার্কেট সুপারস্টার গ্রুপ, রয়্যাল কিং মানি মেকারস, দ্য লয়াল ক্লাব, শেয়ার বাজারে আড্ডা, রাকিব প্রফিট অ্যান্ড জয়, শেয়ারবাজার জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জোট, বাদশা জোনসহ ৮৬টি ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ গুজব ছড়িয়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন সিকিউরিটিজের বাজার মূল্যকে কৃত্রিমভাবে প্রভাবিত করছে বলে উঠে আসে।
এর প্রেক্ষিতে বিটিআরসি যাচাই-বাছাই শেষে ৩১টি গ্রুপ বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া বাকিগুলো নিষ্ক্রিয়করণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।