পুঁজিবাজারে ‘২০১০ সালের পূণরাবৃত্তি’ হওয়ার সুযোগ নেই : বিএসইসি’র চেয়ারম্যান

বিএসইসি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ‘এসএমই খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন। বিনিয়োগকারীরা না বুঝে কমিশনকে দোষ দিচ্ছে। পুঁজিবাজারে এখন শেয়ার ক্রয়ের সময়, বিক্রয়ের নয়।

বিনিয়োগকারীরা কে কোন সিকিউরিটিজ কিনেন, সেটা আমরা দেখি না বা কারও পোর্টফোলিও আমরা ম্যানেজ করি না। অথচ বিনিয়োগকারীরা লোকসান করলেই আমাদেরকে দোষারোপ করেন। কিন্তু লাভ করলে আর কিছু বলেন না।

তিনি বলেন, বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বাজারের উর্ধ্বমূখী অবস্থায় বিক্রি করেন এবং নিম্নমূখী অবস্থায় ক্রয় করেন। এটাই উচিত। কিন্তু আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা উল্টো আচরণ করেন। শেয়ারবাজারের সূচক বাড়ার পরে কিছুটা কমতে পারে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের বিনিয়োগকারীরা অল্পতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পড়তি বাজারে যেখানে কেনার কথা, সেখানে তারা বিক্রি করেন। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, বাজার শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে।

আরো পড়ুন : কেমন হবে বেক্সিমকোর সুকুক বন্ডের মুনাফা

বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করি। এখানে ২০১০ সালের পূণরাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ নেই। এটা বিনিয়োগকারীদের মাথায় রাখতে হবে। স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতার জন্য আমরা তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিশেষ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কিন্তু সেখানে কোম্পানির এমন সব তথ্য উঠে আসছে, যা দেখে নিজেরাই ভয় পেয়ে যাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিদিন অসংখ্য কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বসি। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা বা মনোভাব দেখার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোম্পানির টাকা পাচার ও অনেক কোম্পানির আবার সত্যিই ব্যবসা খারাপ হওয়ার মতো ঘটনা দেখতে পাই।

এক্ষেত্রে যে কোম্পানির জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তাই নেই। দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্ব অনেক। আমরা এই খাত এগিয়ে নিতে কাজ করছি। এখন শেয়ারবাজার থেকে এসএমই খাতের কোম্পানিগুলো অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এক্ষেত্রে মূল মার্কেটের তুলনায় অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও সুবিধা দেওয়া হবে।