পিকে হালদারের সেই বান্ধবী গ্রেফতার

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পিকে হালদার সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়ে যান।

বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে দুদক নিশ্চিত করেছে।

এদিন দুদকের একটি দল রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে অবান্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসে।

পিকে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে অবন্তিকার বিরুদ্ধে।

এর আগে অবন্তিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক অবন্তিকা বড়ালের রাজধানীর ধানমণ্ডির ফ্ল্যাটে একটি নোটিশ পাঠায়। ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় তাকে হাজির হতে বলা হয়েছিল ওই নোটিশে।

তবে দুদকের চিঠি পাওয়ার পরও তিনি যথাসময়ে হাজির হননি। ব্যক্তিগত কোনো সমস্যার কারণে হাজির হতে পারেননি বা কবে হাজির হতে পারবেন- এ বিষয়েও লিখিত বা ফোনে দুদককে অবহিত করেননি তিনি। এর দুই সপ্তাহ পর অবন্তিকাকে গ্রেফতার করা হলো।

পদ-পদবি ব্যবহার করে প্রশান্ত কুমার অন্তত ৫০০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজে একা নন, মা, স্ত্রী, ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং স্বজনদেরও এই দুর্নীতির সহযোগী করেছেন।

পিকে হালদারের সুখাদা লিমিটেড নামের যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে গ্রেফতার অবন্তিকা বড়াল, প্রীতিষ কুমার হালদার ও সুস্মিতা সাহা ও এপিকে নামে বিনিয়োগ রয়েছে।

বাংলাদেশ পু‌লি‌শের ইন্টার‌পোল শাখা যথাযথ প্র‌ক্রিয়া অনুসরণ ক‌রে প্র‌য়োজনীয় ডকু‌মেন্টস ও সা‌পো‌র্টিং এলি‌মেন্টস সহকা‌রে ইন্টার‌পোল সদর দফতরে আবেদন‌টি পাঠায়। ইন্টার‌পো‌লের এক‌টি বি‌শেষ ক‌মি‌টি আবেদন ও এর সা‌থে সংযুক্ত ডকু‌মেন্টস ও কাগজপত্র পর্যা‌লোচনা ক‌রে আবেদন‌টি অনু‌মোদন ক‌রে।

ইন্টার‌পো‌লের কে‌ন্দ্রিয় ও‌য়েবসাই‌টে প্রকা‌শের পাশাপা‌শি সারা‌বি‌শ্বে বি‌ভিন্ন দে‌শে ইন্টার‌পো‌লের শাখায়ও পাঠানো হ‌য়ে‌ছে এ রেড নো‌টিশ। এটি আগামী পাঁচ বছ‌রের জন্য জারি থাক‌বে। ত‌বে প্র‌য়োজ‌নে আবেদ‌নের পরিপ্রে‌ক্ষি‌তে মেয়াদ নবায়ন যোগ্য বলে জানা যায়।

আরো পড়ুন- দেশে ফিরলে পি কে হালদারকে গ্রেফতারের নির্দেশ হাইকোর্টের

রেড নোটিশে পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দায়ের করা দুর্নীতি দমন আইন, ২০০৪ এর ২১(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।