নৌপথে ‘বর্ধিত ভাড়া’ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

মানববন্ধন

আজ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নৌপথে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করে লঞ্চ যাত্রী ঐক্য পরিষদ। সভাটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সহ সভাপতি হাসান আল মেহেদি।

এসময় তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে দেশের দক্ষিন অঞ্চলে যাতায়াতের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো নৌপথ। তুলনামূলক খরচ কম হওয়া সাধারণত নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা এই পথে বেশি যাতায়াত করে। কিন্তু তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে যাত্রিদের কথা বিবেচনা না করে লঞ্চ মালিকগন ৩৫% ভাড়া বৃদ্ধি করে।

ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২৩% বাড়লেও লঞ্চ মালিকগন ভাড়া ৩৫% বৃদ্ধি করে। এতে বিপাকে পড়ে এই পথে যাতায়াত কারী যাত্রীগন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আরিফুর রহমান দুর্জয়। এসময় তিনি বলেন। ইতোপূর্বে আমরা দেখছি করোনাকালেও লঞ্চ মালিকগন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। তখন ১০০ টাকার ভাড়া তারা ১১৫ টাকা করে। এবং চেয়ারের ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা করে। ফলো এমনিতেই তারা ভাড়া বাড়িয়েছে।

এখন নতুন করে আবার ভাড়া বাড়ানোর ফলে দেখা যায়, ডেকের ভাড়া ১১৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫০, নিচের চেয়ার ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২২০, নন-এসি সিঙ্গেল কেবিন ৫০০ থেকে বেড়ে ৬০০, ডাবল কেবিন এক হাজার থেকে বেড়ে ১২শ’ টাকা, এসি সিঙ্গেল কেবিন ৭০০ এবং ডাবল কেবিন ১৪শ’ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া ভিআইপি কেবিনের ভাড়া হয়েছে আড়াই হাজার টাকা।

সংগঠনটির সদস্য জহির রায়হান বলেন। অনেক জায়গায় দেখা যায় একেক লঞ্চ একেক রকম ভাড়া নিচ্ছে। প্রতি কিলোমিটারে ৬০ পয়সা ভাড়া বাড়ালেও যাত্রীদের কাছ থেকে তার চেয়ে বেশি আদায় করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত লঞ্চের স্টাফদের যাত্রীদের কথা-কাটাকাটি হয়।

আমরা একই সাথে নৌপথে সকল যাত্রী হয়রানি বন্ধ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যাবস্হা গ্রহনের দাবি জানাই। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ সভাপতি হাবিবুল বাশার বাচ্চু সদস্য ইসমাইল হোসেন সহ আরো অনেকে।