তেঁতুলিয়ায় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা
দেশের সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড় এখন হিমালয়কন্যা হিসেবে পরিচিত। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জনপদের নাম পঞ্চগড়। শীতপ্রবণ এই পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। দুর্লভ এ চিত্র দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা।

সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম নৈসর্গিক রূপ। যা সূর্যের তেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো বেশি স্পষ্ট দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানায়, এসময় আকাশ পরিষ্কার থাকলেই সকালে স্পষ্ট দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। তারপর ক্রমান্বয়ে ঝাপসা হয়ে হারিয়ে যায় এ পর্বত। আবার বিকেলে সূর্যকিরণ যখন তির্যকভাবে বরফাচ্ছাদিত পাহাড়ে পড়ে তখন আবারো চোখে ধরা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা। এ দৃশ্য দেখতে ছুটে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন জেলার মানুষ।

পঞ্চগড় জেলা মোটর মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধা এবং বাংলাবান্ধা থেকে ঢাকা পর্যন্ত হানিফ, শ্যামলী বা নাবিল পরিবহনের এসি/ননএসি বাস চলাচল করছে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর পর্যন্ত আসতে পারেন। সৈয়দপুর থেকে বাস, মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কারে করে যেতে পারেন বাংলাবান্ধা পর্যন্ত। উপভোগ করতে পারেন পঞ্চগড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতিবছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত শীতের আগমনী বার্তার পূর্বে আকাশে ভেসে ওঠে হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে নেপালের দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার, ভূটানের দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার, চীনের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৫৮ এবং শিলিগুড়ির দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। অন্যদিকে হিমালয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গের দূরত্ব ৭৫ ও কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার।

আরও পড়ুন :- ফিরছে পাহাড়ি পর্যটন

বাংলাদেশ-ভারতের বুক চিরে বয়ে যাওয়া সীমান্ত নদী মহানন্দায় সূর্যাস্ত দর্শন, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, সমতল ভূমিতে গড়ে ওঠা সবুজের নৈসর্গ চা বাগানসহ নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর পঞ্চগড়।