ডেল্টা এবং ওমিক্রন যমজ সংস্করণ ‘ডেলমিক্রন’

ওমিক্রন

ডেল্টার চেয়ে দ্রুত ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে এমন পরিস্থিতিতে করোনার আরেকটি ধরন সামনে এসেছে। এটি মূলত ডেল্টা এবং ওমিক্রন ধরনের যমজ সংস্করণ, যা ইতিমধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকায় আক্রান্তের ছোটখাটো সুনামি বইয়ে দিয়েছে। ইন্ডিয়া ডটকম বলছে, দ্বিগুণ মিউটেশন ক্ষমতার আরেকটি করোনার ধরন এসেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডেলমিক্রন’।

ডেলমিক্রন করোনার দ্বৈত ধরন এবং পশ্চিমের দেশগুলোতে ব্যাপকহারে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। ডেল্টা ও ওমিক্রনের নাম মিলিয়ে ডেলমিক্রন বলা হচ্ছে। বর্তমানে ভারতসহ গোটা বিশ্বে ডেল্টা ও ওমিক্রন দাপট দেখিয়ে চলেছে।

ভারত সরকারের করোনা টাস্কফোর্সের সদস্য শশাঙ্ক জোশী বলেছেন, ‘ডেলমিক্রন হলো ডেল্টা ও ওমিক্রনের দ্বৈত স্পাইকে গঠিত। এটি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের সুনামি বইয়ে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ভারতে ওমিক্রন কেমন আচরণ করে, তা দেখার বাকি রয়েছে। যদিও ডেল্টা ধরন রীতিমতো দেশটিকে ধসিয়ে দিয়েছে।’

এখনো ভারতে ডেল্টা ও তার বংশধর ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রেখে চলেছে। যেসব অঞ্চলে ডেল্টার সংক্রমণ ছিল, সেখানে এখন ওমিক্রন প্রভাব বিস্তার করছে। কিন্তু ডেল্টার মতোই ওমিক্রন আচরণ করবে কি না তা এখনো অনুমান করার সময় আসেনি বলে মনে করেন শশাঙ্ক যোশী।

ওমিক্রন হলো সার্স-কভ-২ থেকে অতি সংক্রামক বি.১.১.৫২৯, যেটি প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়। এই ধরন খুব দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যে, এখন পর্যন্ত ১০৬টি দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

তবে ভারতে শনাক্ত ডেল্টা ধরনের চেয়ে ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে মাঝারি ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এমনকি ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনে মৃত্যুর হারও অনেক কম। কিন্তু ডেল্টা ও ওমিক্রনের যৌথ ফলাফল হলো ডেলমিক্রন এবং এটি দ্বৈত স্পাইকের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন থেকে নিজেকে আলাদা করছে।