ডেঙ্গি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে

ডেঙ্গি রোগী

দেশে এডিসবাহিত ডেঙ্গি রোগের প্রাদুর্ভাব ক্রমেই বেড়ে চলছে। ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালে। চলতি মাসের ২৪ দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত ১ হাজার ২০২ জন হাসপাতালে চিকিতসা নিয়েছেন। এমনকি এই সময়ে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আক্রান্তের হারও বেশি।

দেশে কোভিড-১৯ মহামারির সময় ডেঙ্গির এই প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তারা বলছেন, মধ্য আগস্টে এটি পিকে উঠতে পারে। থেমে থেমে বৃষ্টি এবং ঈদুল-আজহার কারণে জমে থাকা পানি ও রক্তে ডেঙ্গি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন তারা। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিতসা করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, মশা নিধনের কীটনাশক আমদানিতে প্রায় ৯০ শতাংশ ডিউটি দিতে হয়। তাছাড়া মশা মারা এবং উৎপত্তিস্থান ধ্বংসের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। কীটনাশক আমদানির অনুমোদন দিয়ে থাকে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং চিকিৎসার দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। তবে কেউই তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে মশক নিধনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। ফলে প্রতিবছরই ডেঙ্গিকে সঙ্গী করেই আমাদের বসবাস করতে হচ্ছে।