চট্টগ্রামে সংঘাতে নিহতের ঘটনায় আটক ২৬

চট্টগ্রাম নগরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এবং বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর পুলিশ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরসহ ২৬ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার নগরের ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলিতে এ ঘটনা ঘটে ।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাত ৯টার দিকে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মগপুকুরপাড় এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে। মূলত গণসংযোগ চালানোর সময় সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘আমরা ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করলাম। এখন এদের থানায় নিয়ে তারপর সেখান থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।’

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পাঠানটুলি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং বিদ্রোহী আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুপক্ষই গোলাগুলিতে অংশ নেয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আজগর আলী বাবুল সর্দার নামে একজন মারা যান এবং মাহবুব নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। একই সময়ে আরো ছয় থেকে সাতজন লোক আহত হয়। গুলিবিদ্ধ দুজনই নজরুল ইসলাম বাহাদুরের অনুসারী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে এলাকা থেকে বিকেলে লোহার তৈরি বিপুল ব্যাডমিন্টনের র‍্যাকেট জব্দ করে পুলিশ।

এদিকে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদেরের বাড়ি ঘেরাও করে কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

আরও পড়ুন- মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে সন্তানদের সামনে নির্যাতন

আজগর আলী বাবুল সর্দার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জেনেছি গুলিবিদ্ধ, তবে নিশ্চিত নই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে ঠিক কিভাবে মারা গেছেন তা বলতে পারব।’