‘গ্ল্যাড জেনারেটর’ বাংলাদেশী পণ্যের এগিয়ে চলা

গ্ল্যাড জেনারেটর

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে নতুন প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেলী পণ্য গ্ল্যাড জেনারেটর। দেশপ্রেমের সাক্ষ্য হিসেবে ‘বাংলাদেশ’ শব্দের মাঝের চার অক্ষর থেকে ‘গ্ল্যাড’ এর নামকরণ করা হয়েছে।

জেনারেটরের জন্য বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ যাতে বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করতে পারে সেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে পন্যটির। ১৯৯৫ সাল থেকে দেশের জেনারেটর শিল্পে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে ইপিজিএল। ২০১৫ সাল থেকে গ্ল্যাড জেনারেটর উৎপাদন করা হচ্ছে। বর্তমানে, কারখানাটি বছরে ২০ কিলোভোল্ট অ্যাম্পিয়ার থেকে এক হাজার কিলোভোল্ট অ্যাম্পিয়ার পর্যন্ত বিভিন্ন পরিসরের ৩০০ জেনারেটর অ্যাসেম্বেল করার সক্ষমতা রয়েছে।

বর্তমানে, দেশের বেশ বড় কয়েকটি প্রকল্প, যেমন- পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মিরসরাই ইকোনোমিক জোন, জাতিসংঘের মিশন ও উল্লেখযোগ্য রিয়েল এস্টেট, সম্মুখসারির ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, বৃহৎ তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা এবং আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে গ্ল্যাড জেনারেটর ব্যবহৃত হচ্ছে।

গ্ল্যাড একটি অত্যাধুনিক ডিজেল জেনারেটর ব্র্যান্ড, যাতে রয়েছে বিখ্যাত পারকিন্স ইঞ্জিন, স্ট্যামফোর্ড/লিরয়-সোমার অল্টারনেটর এবং উডওয়ার্ড, ডিপ সি ও কমঅ্যাপের মতো খ্যাতনামা কন্ট্রোলার। এনার্জিপ্যাক বাংলাদেশে পারকিন্স ইঞ্জিনের একমাত্র পরিবেশক। এনার্জিপ্যাক এক্ষেত্রে ২৪/৭ পরিষেবা ব্যবস্থা ও সার্বক্ষণিক উন্নত সেবা নিশ্চিত করছে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারদরে উচ্চ মানসম্পন্ন জেনারেটর সরবরাহের সক্ষমতা রাখে এনার্জিপ্যাক।

গ্ল্যাডের পেছনে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশীদ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এ বছর স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে গৃহীত একাধিক প্রকল্পের উন্নয়নে ইপিজিএল সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছে”।